শামিমা তুষ্টি। ২৯ সেপ্টেম্বর রাজধানী ঢাকায় জন্মলাভ করেন। পৈতৃক নিবাস ঢাকা নবাবগঞ্জ। বর্তমানে বসবাস করছেন খিলগাঁও এ। বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতার প্রথম পতাকা বহনকারী মুহিদুল ইসলাম ইবু এবং মা মাকসুদা ইসলাম। দুইভাইবোনের মধ্যে তিনি বড়। তার একমাত্র ভাইয়ের নাম আসিফ-উল মুহিব ফাল্গুন। অভিনয়ের বাইরে তিনি শাহীন স্কুলের শিক্ষক। প্রথম কাজ হচ্ছে মঞ্চে অভিনয়। কাছের বন্ধু হলেন ফারগিন, ফাহমি, মিথিলা, দীপা। তিনি মগবাজার উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন ইস্পাহানী গালর্স কলেজ থেকে। পরবর্তীতে ইডেন কলেজ থেকে ম্যানেজমেন্টর উপর গ্রাজুয়েশন করেন। ছোট বেলা থেকেই লোকনাট্য দলের হয়ে মঞ্চ নাটক ও নাচ করেন। প্রিয় সিনেমা থাউজেন্টবিলো। প্রিয় ব্যক্তিত্ব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। প্রিয় বই সমরেশ মজুমদারের সাতকাহন। প্রিয় খাবার হচ্ছে মায়ের হাতের সব রান্না। প্রিয় রং কালো। প্রিয় জায়গা কক্সবাজার। প্রিয় শিক্ষক স্কুলের বানু ম্যাডাম। ভবিষ্যতে তিনি অভিনেত্রী থেকে একজন নেত্রী হতে চান। মূলত ছোট বেলা থেকেই তার শিল্পী হবার কথা ছিলো।
বয়স তখন পাঁচ বছর হবে। পিপলস লিটল থিয়েটারে (পিএলটি) যোগ দিলেন তুষ্টি। পিপলস লিটল থিয়েটারের হয়ে টানা ১২ বছর অভিনয় করেছেন। তারপর পিএলটির মূল সংগঠন লোকনাট্যদলে কাজ শুরু করেন তিনি। দলে কঞ্জুস, সিদ্ধিদাতা, তপস্বী ও তরঙ্গিনী এবং পদ্মা নদীর মাঝি নাটকে অভিনয় করেন। এখনো তিনি কঞ্জুস নাটকের নিয়মিত অভিনেত্রী।
প্রথমে লাক্সের একটা ছোট বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়ার মাধ্যমে মিডিয়ায় পা রাখা। এরপর করলেন ইস্পাহানি মির্জাপুর চা-এর বিজ্ঞাপন। সময়টা ২০০৮ সাল। ডাক এল সালাহউদ্দীন লাভলুর ধারাবাহিক ভবের হাট নাটকে অভিনয়ের জন্য।
তবে মিডিয়ায় তাঁর টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে একটি বিজ্ঞাপনচিত্র যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন তুষ্টি—হরলিকেসর বিজ্ঞাপন। ‘হরলিক্স!!’—বিস্মিত হওয়ার অভিব্যক্তিতে তাঁর এই সংলাপ টেলিভিশন পর্দায় ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে। এ নিয়ে তুষ্টির কথা হলো, ‘সত্যিই হরলিকেসর বিজ্ঞাপনটিতে খুব সাড়া পেয়েছি আমি। অনেকেই প্রশংসা করেছেন।’
সেই প্রশংসা মাথায় নিয়ে এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। বিজ্ঞাপনের মডেল থেকে অভিনেত্রী হিসেবে টিভি নাটকে তাঁর অবস্থান এখন বেশ ভালো।