‘একবার না পারিলে দেখো শতবার’ -এই প্রবাদবাক্য প্রমাণ করতে আরও ৯২ ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে না হয়ত। তবে অষ্টমবারের দেখায়ও ভারতকে যে হারানো গেল না, সেটিও ফাইনালের ম্যাচে, সেই ব্যথা ভুলতে আরও ৯২ ম্যাচ লেগে যেতেই পারে বাংলাদেশের। হয়ত তখনও মিটবে না ব্যথা। কমবে কেবল তীব্রতাটা।
টি-টুয়েন্টিতে আগের সাত দেখায় ভারতের বিপক্ষে না পাওয়া জয়ের স্বাদ পেতে মরিয়া ছিল টাইগাররা। অষ্টমবারে এসে কড়ায়-গণ্ডায় আদায় করে নেয়ার সম্ভাবনাও জেগেছিল। সঙ্গে নিধাস ট্রফি ঘরে তুলে তিন বা ততোধিক দেশের লড়াই জমা সিরিজে প্রথমবার শিরোপা উঁচিয়ে ধরার সুযোগও। শেষ পর্যন্ত আক্ষেপই হল সঙ্গী। খুব কাছে এসে খুব দূরে ফেলে আসার আক্ষেপ।
রোববার কলম্বোর প্রেমাদাসায় ভারতের কাছে ৪ উইকেটে ম্যাচ হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করে ১৬৬ রান তোলার পর শেষ ওভার পর্যন্ত জমিয়ে রাখা ম্যাচ, শেষ বলে ছয় মেরে ছিনিয়ে নেন কার্তিক। সৌম্যর চোখে জল ঝরিয়ে। জল ঝরিয়ে বাংলাদেশের চোখে।
টি-টুয়েন্টিতে ভারতের বিপক্ষে টাইগারদের প্রথম দেখা ২০০৯ সালে, ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে। সেই ম্যাচ কোন প্রকার প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়তে না পেরে ২৫ রানে ম্যাচ খোয়ায় টাইগাররা। পরের দেখা আরেক বিশ্বকাপে। ২০১৪ সালে। সেবারও ঘরের মাঠে ৮ উইকেটের বড় হার দেখে মুশফিকুর রহিমের দল।
দুই বছর পর ঘরের মাঠে এশিয়া কাপে দুবার ভারতের মুখোমুখি হয় টাইগাররা। টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটের লড়াইয়ে সেবার গ্রুপ পর্বে ৪৫ রানে হারের পরও ঠিকই ফাইনালের টিকিট কাটে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার দল। এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের আসরে যা দ্বিতীয় ফাইনাল টাইগারদের।
তবে হতাশই হতে হয়েছে শিরোপার মঞ্চে। হারের ব্যবধানটাও ৮ উইকেটের। বহুজাতিক টুর্নামেন্টে আরও একবার শিরোপা বঞ্চিত বাংলাদেশ।
সেই ২০১৬ সালেই বেঙ্গালুরুতে আরও একটি বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ। যে ম্যাচ ক্ষত হয়ে আছে টাইগার সমর্থকদের মনে। ৩ বলে ২ রান নিতে না পারার ব্যর্থতায় নিধাস ট্রফির আগ পর্যন্ত আক্ষেপই হয়ে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকুর জুটি। আক্ষেপটা মিটল না। তাতে টাইগার ক্রিকেটের ইতিহাসে লেখা হল নতুন এক অধ্যায়।