পতেঙ্গা সৈকত বন্দর নগরী চট্টগ্রাম শহর থেকে ১৪ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থিত। এটি কর্ণফুলী নদীর মোহনায় অবস্থিত। পতেঙ্গা একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। এটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নৌ একাডেমী এবং শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের সন্নিকটে। রাতের বেলা এখানে নিরাপত্তা বেশ ভালো এবং রাস্তায় পর্যাপ্ত আলো থাকে। স্থানীয় লোকের মতে, এখানে সুস্বাদু ও মুখরোচক খাবার অত্যন্ত সস্তায় পাওয়া যায়। তেমনি একটি জনপ্রিয় খাবার হল,মসলাযুক্ত কাঁকড়া ভাজা, যা সসা ও পিঁয়াজের সালাদ সহকারে পরিবেশন করা হয়। সন্ধাকালে সৈকতে চমৎকার ঠাণ্ডা পরিবেশ বিরাজ করে এবং লকজন এখানকার মৃদু বাতাস উপভোগ করে। পুরা সৈকত জুড়ে সারিবদ্ধ পাম গাছ আছে। অসংখ্য মাছ ধরার নৌকা এখানে নোঙ্গর করা থাকে। এছাড়া পর্যটকদের জন্য স্পীডবোট পাওয়া যায়। অধিকাংশ পর্যটক পতেঙ্গা সৈকতে আসে সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করার জন্য।
বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকতগুলোর মধ্যে একটি হলো পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত। চট্রগ্রাম শহরের কাছে এবং কর্ণফুলী নদীর মুখেই অবস্থিত এই সৈকত থেকে সূর্যাস্ত উপভোগ করতে পারবেন। প্রকৃতিপ্রেমীরা নগরের ব্যস্ততা থেকে মুক্তি পেতে এখানে আসেন বঙ্গোপসাগরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে। দর্শনীয় এই পর্যটন স্পটটি বাংলাদেশ নেভাল একাডেমী এবং শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছেই অবস্থিত।
পতেঙ্গা সৈকতের প্রস্থ খুব বেশি নয় এবং এখানে সমুদ্রে সাঁতার কাটা ঝুঁকিপূর্ণ। সমুদ্র সৈকতজুড়ে ভাঙ্গন ঠেকাতে কংক্রিটের দেয়াল এবং বড় পাথরের খণ্ড রাখা হয়েছে। নব্বইয়ের দশকে সৈকতের আশেপাশে বেশকিছু রেস্টুরেন্ট এবং খাবারের দোকান স্থাপিত হয়েছে। সৈকতে বাতির ব্যবস্থা করায় রাতের বেলা ভ্রমনকারী পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। সূর্যোদয় দেখার জন্য এখানে আসতে হলে আপনাকে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠতে হবে।
এখানে আপনি দু ধরনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। একদিকে কর্ণফুলী নদীতে নৌকা ভ্রমন করতে পারবেন আবার অন্যদিকে বঙ্গোপসাগরের ঢেউকেও উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়া সৈকতের পাশেই অবস্থিত মার্কেট থেকে নানা ধরনের বার্মিজ পণ্য ও গয়না কিনতে পারবেন। এখানে আপনার বিনোদনের জন্য ওয়াটার ড্রাইভের ব্যবস্থা রয়েছে।
এখানে শীতকালে বেড়াতে আসাই ভালো। পতেঙ্গা সৈকত থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ফৌজদারহাট সমুদ্র সৈকত থেকেও ঘুরে আসতে পারেন। পিকনিকের জন্য এটি একটি আদর্শ স্থান।