৬০৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা প্রকল্পের আওতায় পাঁচটি খাল খনন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে । হাজারীবাগ, বাইশটেকী, কুর্মিটোলা, মান্ডা ও বেগুনবাড়ী খালে ভূমি অধিগ্রহণ এবং খনন/পুনঃখনন করা হবে।মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। মোট ১০ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক। এগুলো বাস্তবায়নে মোট খরচ ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৪১৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৩ হাজার ৪০০ কোটি ৯৩ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারীসংস্থা থেকে টাকা ধরা হয়েছে ১৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে এ সকল প্রল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।তিনি বলেন, এসব খাল উদ্ধার করতে কঠোর হতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এসব খালের উপর কোনো ভবন থাকলে তা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ এবং নার্সিং কলেজ স্থাপন গোপালগঞ্জ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৭০৫ কোটি ৪ লাখ টাকা। জয়িতা টাওয়ার নির্মাণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১৫৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা। কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৫৫১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে প্রচার কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৫৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।আশুগঞ্জ ১৩২ কেভি পুরাতন এআইএস উপ-কেন্দ্রকে ১৩২ কেভি নতুন জিআইএস উপ-কেন্দ্র দ্বারা প্রতিস্থাপন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৩৫৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। ঢাকাস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টকে (বিআইবিএম) শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১৪৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
এছাড়া বরগুনা জেলার উপকূলীয় পোল্ডারসমূহে সেচ কাজের জন্য খাল পুনঃখনন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৬১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। এলেঙ্গা-জামালপুর জাতীয় মহাসড়ক (এন-৪) প্রশস্তকরণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৪৮৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা। মাওনা-ফুলবাড়িয়া-কালিয়াকৈর-ধামরাই-নবীনগর (ঢুলিভিটা) মহাসড়ক প্রশস্তকরণ ও মজবুতিকরণ (আর-৩১৫) প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২৮২ কোটি ২২ লাখ টাকা।