গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কারো শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর। আগে আক্রান্ত আরও চারজন সুস্থ হয়েছেন। আজ শনিবার (২৮ মার্চ) করোনাভাইরাসসংক্রান্ত সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে করা ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
এর আগে শুক্রবার দুজন চিকিৎসকসহ চার ব্যক্তি প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন।
এ সময় তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা আইইডিসিআরের হটলাইনে তিন হাজার ৪৫০টি কল পেয়েছি। সবগুলোই ছিল কোভিড-১৯ সংক্রান্ত।
অধ্যাপক সেব্রিনা বলেন, এ পর্যন্ত আইইডিসিআরে এক হাজার ৬৮টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়।গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন কেউ আক্রান্ত হননি। এ সময়ে ৪২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। রোগীর সংখ্যা এখনো ৪৮। নতুন করে চারজন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের একজনের কিডনিসংক্রান্ত জটিলতা ও একজন উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন। লক্ষণ অনুযায়ী তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাঁরা হাসপাতালে থেকেছেন গড়ে ১২ দিন। জ্বর, কাশির মতো মৃদু লক্ষণ ছিল। অন্যান্য রোগে যাঁরা আক্রান্ত ছিলেন না, তাঁরা হাসপাতালে আসার দু-চার দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন।এই মুহূর্তে হাসপাতালে আইসোলেশনে আছেন ৪৭ জন। সর্বমোট আইসোলেশনে ছিলেন ২৮৪ জন। বাকিদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আইইডিসিআর পরিচালক আরো বলেন, আমাদের সামাজিক বিচ্ছিন্নকরণের আজকের দ্বিতীয় দিন চলছে। এ পর্যন্তু আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের আদেশ-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সময় জনস্বার্থে যে আদেশ ও নির্দেশনা দেওয়া হয়, সেগুলো আপনারা অবশ্যই মেনে চলবেন। আইইডিসিআরের হটলাইনগুলো সবসময় খোলা রয়েছে জানিয়ে ধৈর্য ধরে সবাইকে সহযোগিতা করতে অনুরোধ করেন।
‘অবশ্যই ঘরের বাইরে যাবেন না, ঘরের ভেতরে থাকবেন। ঘরের ভেতরে থেকে যে বিষয়গুলো চর্চা ও পরিচর্যা করতে বলে থাকি, সেগুলো অবশ্যই মেনে চলতে হবে।’
তিনি জানান, ইতিমধ্যে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলবেন। কাশি শিষ্টাচার অবশ্যই মেনে চলবেন। নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে দুই হাত ধোবেন। অপরিষ্কার হাতে নাক-মুখ-চোখ স্পর্শ করবেন না। যাদের বয়স ষাটোর্ধ্ব কিংবা যাদের দীর্ঘমেয়াদি রোগ রয়েছে, তারা অবশ্যই অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করে নিজের ঘরের ভেতরেই থাকবেন। একদম নিজের ঘর থেকে বের হবেন না।