গত দুদিনে দেশে কোনো করোনা রোগী শনাক্ত না হলে নতুন করে একজন আক্রান্ত হওয়ার খবর জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।
ইতিমধ্যে আক্রান্ত আরও ৪ রোগী সুস্থ হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনের বয়স ৮০ বছর। অন্য দুজনের বয়স ৬০ বছরের ওপরে।সুস্থদের মধ্যে একজন চিকিৎসক ও একজন নার্স রয়েছেন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৯ জনে। আর আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ এ পর্যন্ত হয়ে উঠেছেন ১৯ জন।করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে দেশের সবশেষ পরিস্থিতি জানাতে সোমবার দুপুরে অনলাইন লাইভ ব্রিফিংয়ে আসেন আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৫৩ ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত একজনকে শনাক্ত করা
মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, সর্বশেষ সুস্থ হওয়া চার ব্যক্তির কারও ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ছিল। এরপরও তারা সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে যাকে শনাক্ত করা হয়েছে, তাঁর বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। আজ পর্যন্ত দেশে মোট ৪৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৯ জন সুস্থ হয়েছেন। মারা গেছেন পাঁচজন।
মীরজাদী জানান, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারিন্টিনে থাকা ৩৬ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৭২৫টি কল এসেছে আইইডিসিআরে।
মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, গত দুই দিন কোনো শনাক্ত না থাকায় কেউ হয়তো মনে করছেন বাংলাদেশ ঝুঁকিমুক্ত হয়ে গেছে। আমরা ঝুঁকিমুক্ত হয়ে গেছি, তা বলা যাবে না। এটা বৈশ্বিক সমস্যা। যত দিন সারা বিশ্বে শূন্যের কোটায় না আসবে, তত দিন প্রতিটি প্রতিরোধ কার্যক্রম অনুসরণ করতে হবে।
জনগণের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, আপনাদের সকলের অংশগ্রহণ অনুরোধ করছি। আপনাদের ঘরের ভেতর থাকা অত্যন্ত জরুরি। সরকার যেসব আদেশ-নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো পালন করুন। বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করে বের হোন।
প্রসঙ্গত গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে তিনজনকে শনাক্ত করা হয়। তখন বলা হয়, এই তিনজনের মধ্যে দুজন ইতালি থেকে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। তাদের কাছ থেকে একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।