টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাশন্যাল অ্যাডভাইজরি কমিটি অব অটিজম অ্যান্ড নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিজঅর্ডারসের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি সায়মা ওয়াজেদ হোসাইন।
তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বা মানসিক সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তিদের হলিস্টিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে, যা সারা পৃথিবীর কাছে মডেল হিসেবে বিবেচিত হবে।
২৮তম বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে ‘অ্যা ডে সেন্টার ফর পিপল উইথ মেন্টাল হেলথ নিডস: অ্যা মডেল কেয়ার অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা।
এ বছর দিবসটির থিম ছিল মানসিক স্বাস্থ্যে বিনিয়োগ। সিআরপি ২০১৪ সাল থেকে বিভিন্নভাবে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছে। ২০১৮ সালে কাদুরি চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশনের সহায়তায় সিআরপি-গণকবাড়িতে মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় ডে কেয়ার সেন্টার স্থাপন করে। সিআরপির প্রতিষ্ঠাতা ভ্যালেরি এ টেইলরের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সায়মা ওয়াজেদ সিআরপির উদ্যোগের প্রশংসা করেন। সেইসঙ্গে মানসম্মত সেবা নিশ্চিতকরণে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅ্যাবিলিটি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গোলাম রব্বানি, হংকং কাদুরি চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশনের সাউথইস্ট এশিয়ার প্রোগ্রাম ম্যানেজার রিতা বনমালি, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. বর্ধন জং রানা, নন কমুনিকেবল ডিজিস সেন্টারের লাইন ডিরেক্টর ড. মোহাম্মাদ হাবিবুর রহমান।
আলোচক হিসেবে ছিলেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট আয়ারল্যান্ডের ক্যারেন হিসলিপ, অকুপেশনাল থেরাপিস্ট সহকারী অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ ও সিআরপির প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর অব অকুপেশনাল থেরাপি ডে কেয়ার সেন্টার ফর পিপল উইথ মেন্টাল হেলথ নিডস রাজিয়া সুলতানা।
প্রফেসর ড. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের বর্তমান মানসিক স্বাস্থ্যের চিত্রায়ন করেন। আইরিশ অকুপেশনাল থেরাপিস্ট ক্যারেন হিসলিপ ইউকে এবং আয়ারল্যান্ডের বর্তমান মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা ক্ষেত্র তুলে ধরেন ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এর বাধা বিপত্তিগুলো ব্যাখ্যা করেন।
রাজিয়া সুলতানা, ‘মনের সাথে বসবাস’ শীর্ষক ডকুমেন্টারিতে সিআরপির মেন্টাল হেলথ কেয়ার সেন্টারের কার্যক্রম ও রোগীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি সম্পর্কে তুলে ধরেন।
কাদুরি চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে রিতা বনমালী সিআরপির কার্যকলাপের প্রশংসা করা পূর্বক তাদের সহযোগিতা বজায় রাখার আশ্বাস দেন।
প্রফেসর ড. গোলাম রব্বানী রিহেবিলিটিশন স্পেশালিস্টদের একত্রিত হয়ে রিহ্যাব অ্যাক্ট ২০১৮ এর অধীনে ধারা তৈরি করতে সরকারকে উদ্যোগী করে তোলার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন।
ড. বর্ধন জং রানা বলেন, চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে অন্য ক্ষেত্রগুলোতে সেবার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বর্তমানে প্রাথমিক পর্যায়ের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছে।
ড. মো. হাবিবুর রহমান মানসিক স্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে জনগণের সচেতনতাকে গুরুত্ব দেন। সেই সাথে এনসিডিসি কর্তৃক গৃহীত পরিকল্পনার একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেন।