ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা। প্রায় প্রতিটি দিন বোমার আঘাতে কেঁপে উঠেছে এ উপত্যকার বিভিন্ন প্রান্তর। হামলা, মর্মান্তিক এসব ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন গাজাবাসী।নারকীয় হামলায় অবরুদ্ধ গাজা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ২০০৭ সাল থেকেই অবরুদ্ধ রয়েছে উপত্যকাটি। নিহত ৪৬ হাজারের বেশি।দেশ-বিদেশে তুমুল সমালোচনার পরও গাজায় শাস্তিমূলক যুদ্ধ চালু রেখেছে ইসরায়েল। গাজার জনসংখ্যার অর্ধেকের বয়স এখন ১৮ বছরের নিচে। চলমান যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এ উপত্যকার কয়েক প্রজন্মের পরিবার নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে দেশটি।
চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত অন্তত ১ লাখ ১০ হাজার ২৬৫ মানুষ আহত হয়েছেন। অর্থাৎ গাজায় প্রতি ২০ জনের ১ জন যুদ্ধে আহত হয়েছেন।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হিসাবে, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে এক-চতুর্থাংশ বা প্রায় ২২ হাজার ৫০০ জনকে জীবনভর অসুস্থতা বয়ে বেড়াতে হবে। তাঁদের পুনর্বাসন জরুরি। কিন্তু তাঁরা কেউ সেটি পাচ্ছেন না, বিশেষ করে যাঁরা অঙ্গপ্রত্যঙ্গে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন, তাঁদের পুনর্বাসন বেশি প্রয়োজন।
প্রতিদিন গাজার অন্তত ১০ শিশু এক কিংবা দুই পা-ই হারাচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। ইসরায়েলি অবরোধের কারণে এসব শিশুর সামান্য কিংবা কোনো ক্ষেত্রে অ্যানেসথেসিয়া ছাড়াই অস্ত্রোপচার করাতে হচ্ছে। এটিও তাদের অঙ্গহানির কারণ।
হতাহতের এসব সংখ্যার বাইরেও আশঙ্কা করা হচ্ছে, হাজারো মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। তাঁদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ। ধ্বংসস্তূপ সরানো ও কেউ বেঁচে থাকলে তাঁকে উদ্ধার করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও অপ্রতুল। স্বেচ্ছাসেবী ও উদ্ধারকারীরা নিজেদের হাতের ওপর ভরসা করে কাজ করছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো কত মানুষ আটকা আছেন, সেটি স্পষ্ট করে বলার সুযোগ নেই।