‘ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা ছিল ডাক্তার হওয়ার। এই পেশাকে অন্য রকম ভালো লাগত। মনে হতো, আমি যদি তাদের মতো হতে পারতাম। এ জন্য মনে আশা নিয়ে চেষ্টা করে গেছি।’
কথাগুলো সুশোভন বাছাড়ের। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন খুলনার ছেলে সুশোভন। ডাক্তার হতে চাওয়ার একবারে প্রাথমিক শর্ত পূরণ হয়েছে। ভবিষ্যতে সুশোভন পড়তে চান নিউরোলজি নিয়ে এবং গরিব ও দুস্থ মানুষের জন্য কিছু করতে চান তিনি।
রোববার সন্ধ্যায় খুলনা নগরের বয়রা এলাকায় উন্মেষ কোচিং সেন্টারের একটি কক্ষে সুশোভন ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ঘিরে সংবাদকর্মীদের ভিড়। শিক্ষক, স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীদের অনেকেই ফুলেল শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। চলছে মিষ্টিমুখ।
তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নে। থাকেন খুলনা নগরের বয়রা এলাকায়। তাঁর বাবা সুভাস চন্দ্র বাছাড় খুলনার টি অ্যান্ড টি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক। মা বন্দনা সেন একসময় শিক্ষক ছিলেন, এখন গৃহিণী। সুভাস চন্দ্র ও বন্দনা সেন দম্পতির একমাত্র সন্তান সুশোভন।
তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে জাতীয় মেধায় প্রথম হয়েছে—এটা অবশ্যই গর্বের বিষয়। আমার ছেলে যে একটা ভালো পর্যায়ে স্কোর করবে বা ভালো পজিশন করবে, এ বিষয়ে আমার আত্মবিশ্বাস ছিল। তার পরিশ্রম ও সততা তাকে এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে বলে আমি বিশ্বাস করি। পরিশ্রমের বিকল্প নেই। পরিশ্রম করলে বৃথা যাবে না। আমি ছেলেকে সব সময় এটা বলতাম। নিয়মিত পত্রিকা পড়াসহ অন্যান্য বইয়ের প্রতি ঝোঁক ছিল সুশোভনের।’ তাঁর বাবা আরও বলেন, ‘প্রথম আলো পত্রিকা নিয়মিত বাসায় রাখি। প্রথম আলো’র শিক্ষাবিষয়ক পৃষ্ঠা সে নিয়মিত খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়ত। আর বিশেষ করে বিজ্ঞানচিন্তা; ওর বিজ্ঞানের প্রতি প্রচণ্ড স্পৃহা। সে নিত্যনতুন আবিষ্কার, বিজ্ঞানের কোথায় কী হচ্ছে, এগুলোর খোঁজখবর রাখত।’