ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা 2018; যা যা থাকছে

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা 2018; যা যা থাকছে

দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের স্টল ও প্যাভিলিয়ন মিলে এবারের বাণিজ্য মেলায় মোট ৫৪০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। গতবার অংশ নিয়েছিল ৫৮৪টি প্রতিষ্ঠান। সে হিসেবে এবার স্টল কমছে ৪৪টি।

তবে এবার স্টলগুলোর আয়তন গতবারের তুলনায় কিছুটা বড় থাকছে। এছাড়া মেলার ভেতরে চলাচলের স্থানকে বেশ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তাদের পণ্য প্রদর্শনীর দেশীয় সবচেয়ে বড় আসর ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। এবার এর ২৩তম আয়োজন।

আয়োজক সংস্থা জানায়, এবার মেলায় অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রবেশ ফি ২০ টাকা এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার জন্য থাকবে বিশেষ পাস।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আয়োজিত এবারের মেলায় চার মহাদেশের ১৭টি দেশ অংশ নিচ্ছে। এবারের মেলায় গতবারের তুলনায় স্টলের সংখ্যা কমেছে ৪৪টি। তবে সংশ্লিষ্টদের দাবি, মেলায় নান্দনিক বৈচিত্র্য আনতে বেশি জায়গা রাখা হয়েছে। বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে ডিজিটালাইজেশন বা তথ্য-প্রযুক্তিতে।

২৩তম বাণিজ্যমেলায় যেসব দেশ অংশ নিচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম হলো- ভারত, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কোরিয়া, হংকং, তুরস্ক, মরিশাস, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, নেপালসহ আরো কয়েকটি দেশ। এ মেলায় এসব দেশের প্যাভিলিয়নে তাদের বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শন করবে।

আয়োজক সূত্র জানিয়েছে, এবার যারা গাড়ি নিয়ে মেলায় আসবেন তাদের গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখবে কর্তৃপক্ষ। ভিআইপিদের জন্য আলাদা বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হবে। যা ভিআইপি পার্কিং নামে পরিচিত হবে। সাধারণ ক্রেতা-দর্শনার্থীদের গাড়ির জন্য আলাদা পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া মেলার মাঠ সংলগ্ন শেরেবাংলা কৃষি বিদ্যালয়ের মাঠেও গাড়ি রাখার ব্যবস্থা থাকবে বলে জানা গেছে।

মেলায় আসা দর্শক-ক্রেতাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। মেলার ভেতরে ছোট-বড় বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট থাকছে। এসব রেস্টুরেন্টে এবার দামের ব্যাপারে নজরদারি রাখা হবে। পাশাপাশি ফাস্টফুডের দোকানও থাকছে। যেখানে কোমল-পানীয়র ব্যবস্থা থাকবে। নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কেউ যেন বেশি মূল্য না নিতে পারে সে জন্য ভোক্তা অধিকার সংস্থার একটি স্টল থাকছে মেলায়।

এবার খাবারের মূল্য প্রদর্শনেরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য একটি মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক মেলায় নিয়োজিত থাকবে। যেকোনো দর্শনার্থী বা গ্রাহকের অভিযোগ তাদের নজরে আনা যাবে। এছাড়া মেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র্যাবের একটি টিম কাজ করবে বলে জানা গেছে।

ডিজিটাল যুগে মেলায় আসা কোনো দর্শক বা ক্রেতা প্রযুক্তির সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন না। এজন্য ইপিবি কর্তৃপক্ষ মেলায় ডিজিটালাইজড বেশকিছু ব্যবস্থা রেখেছে যা ইতোপূর্বে কখনো দেখা যায়নি।

এবার মেলায় থাকছে ডিজিটাল টাস্ক। এটা দিয়ে অ্যাপসের মাধ্যমে কেনাকাটা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। থাকবে ডিজিটাল এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার। এর মাধ্যমে মেলায় অবস্থিত স্টল ও প্যাভিলিয়নের অবস্থান জানা যাবে। ফলে দর্শনার্থীরা সহজেই তাদের পছন্দের স্টলে যেতে পারবেন। এছাড়া অনলাইনে দেশ-বিদেশ থেকে সব ধরনের তথ্য পাওয়া যাবে।

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মেলায় থাকছে পর্যাপ্ত টয়লেটের ব্যবস্থা, সেইসঙ্গে থাকছে মোবাইল টয়লেটও।