মহাশূন্য থেকে ধেয়ে আসছে অজানা সংকেত, তা নিয়েই রহস্য আরও ঘনীভূত হল সম্প্রতি। জেনে নিন, আসল রহস্য :- সেই ২০০৭ সালে প্রথম ধরা পড়ে এই বেতার তরঙ্গ। কিন্তু এর উৎস আজও অজানা।
কিন্তু সাম্প্রতিক কালে সেই তরঙ্গ আরও জোরাল হওয়ায় ভাঁজ পরেছে গবেষকদের কপালে। গবেষকদের পরিভাষায় এই তরঙ্গকে বলে ফাস্ট রেডিও বার্স্ট। কিন্তু কে বা কারা পাঠাচ্ছে এই সংকেত ? এই সংকেতের অর্থ কি ? এগুলোও আসলে অশনি সংকেত নাকি অন্যকিছু? উত্তরের খোঁজে গোটা বিশ্ব।
‘নেচার’ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানা যাচ্ছে, তিনশো কোটি আলোকর্বষ দূরের কোনো এক অজানা উৎস থেকে আসছে এই বেতার তরঙ্গ। ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার এক শক্তিশালী টেলিস্কোপে ধরা পড়েছে এই সংকেত। মহাশূন্য থেকে ভেসে আসা তরঙ্গ তার শক্তি বাড়াচ্ছে প্রতিদিন। আরও জানা গেছে যে, প্রতিদিনে ওই তরঙ্গ থেকে নির্গত এর্নাজির পরিমান সূর্যের এর্নাজির চেযেও বেশি।
স্পেস ডট কমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট জেসন হেসেলস বলেছেন, ‘‘এই রকম জোরালো এবং শক্তিশালী তরঙ্গ আগে কখন দেখিনি। কোথা থেকে আসছে এমন তরঙ্গ সেটাই জানার চেষ্টা করছি।’’
তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় প্রকাশ, কোনও শক্তিশালী ম্যাগনেটিক এলাকা থেকেই এই সংকেত আসছে। এখনও পর্যন্ত যে ফাস্ট রেডিও বার্স্ট ধরা পড়েছে, তা একরমক নয়। ফলে এর উৎস বের করা মুশকিল হয়।
তবে এফআরবি ১২১১০২ সংকেতটি বেশ কয়েকবার ধরা পড়েছে। এবার এই সংকেতগুলির উৎস বের করা সহজ হতে পারে বলেই মনে করছেন গবেষকরা। আরও এক গবেষক শামি চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘এই তরঙ্গ প্রতিদিন স্পষ্ট এবং জোরলো হচ্ছে, তবে এর অর্থ কি সেটা আমাদের জানতে হবে।’’
জানা গেছে আগের তরঙ্গের থেকে সাম্প্রতিক কালে তরঙ্গের শক্তি প্রায় ৫০০ গুন বেশী। এই তরঙ্গ পৃথিবীর জন্য কোনও অশনি সংকেত নয় তো? উত্তরের দিকে তাকিয়ে রয়েছে গবেষকরাও।