এশীয় অঞ্চলে ইন্টারনেটের অগ্রগতি বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেটের বিস্তৃতি এ অঞ্চলের তরুণদের জন্য বিশাল সম্ভাবনার সুযোগ নিয়ে এসেছে। তবে, এ সম্ভাবনার সাথে অনলাইনে শিশুদের নিরাপদে রাখার চ্যালেঞ্জ ও অনলাইনের হুমকি থেকে তাদের সুরক্ষিত রাখার গুরুত্বও সামনের দিকে চলে এসেছে। সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দেশে প্রায় ৪৯ শতাংশ স্কুল শিক্ষার্থী এ সাইবার বুলিং বা ইন্টারনেট ব্যবহারে হয়রানির শিকার হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের অনলাইনে কার্যক্রম ও আচরণবিধি সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বুঝে উঠতে টেলিনর গ্রুপ আজ মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) নিরাপদ ইন্টারনেটের এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
গবেষণায় বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলোসহ ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সের ১৮৯৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ইন্টারনেট বিষয়ক জ্ঞান নিয়ে জরিপ চালানো হয়।
টেলিনরের হেড অব সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি ওলা জো বলেন, ‘শীর্ষস্থানীয় মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে টেলিনর গ্রুপ ইন্টারনেটে সবার জন্য বিশেষত তরুণদের মধ্যে নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে নিবেদিতভাবে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, টেলিনর আশা করে, শিশুরা কীভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করবে এ নিয়ে টেলিনরের দেশভিত্তিক এ গবেষণা ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রতি ইতিবাচক বাবা-মা ও শিক্ষকদের নিরাপদ ইন্টারনেটের গুরুত্ব বোঝার ওপর জোর দেবে। পাশাপাশি, এ গবেষণা ডিজিটাল সম্ভাবনা, বাবা-মায়েদের শিশুদের সাথে এ ব্যাপারে আলোচনা করা এবং এ নিয়ে তাদের উপদেশ দেয়ার ব্যাপারে উৎসাহিত করবে।’
সাইবার বুলিংসহ ইন্টারনেট সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে স্কুল শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ করে টেলিনর এ নিরাপদ ইন্টারনেট গবেষণা পরিচালনা করেছে। প্রভাব বিস্তারকারী আচরণের ধরন বুঝতে, শিশুদের জন্য ইন্টারনেটকে নিরাপদ করে তুলতে এবং এ বিষয়ে কার্যকরী সমাধানের জন্য এ নিরাপদ ইন্টারনেট গবেষণা পরিচালিত হয়েছে।
