আত্মহত্যা বন্ধে ফেসবুক নতুন টুল চালু করেছে। এই টুলগুলো বহু আগে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে চালু ফেসবুকে ছিল। এখন অস্ট্রেলিয়ায় এই টুল প্রবেশ করেছে। ভারতীয় উপমহাদেশে এই টুল এখনো চালু হয়নি। তবে কোনও না কোনও সময় এই টুল ভারতে চালু হবে। এমন ইংগিত ফেসবুক থেকে পাওয়া গেছে। কীভাবে কাজ করবে ফেসবুকের ওই টুল গুলো?
খবরে বলা হচ্ছে,যদি কোনও অবসাদগ্রস্ত ব্যক্তি আত্মহত্যার কথা ভাবেন, তা হলে ফেসবুকে মন্তব্য করে বা অন্য কোনও ভাবে সেই সম্ভাব্য পদক্ষেপের ইঙ্গিত তিনি দিতেই পারেন৷ সেটা দেখে যদি ফেসবুকে কোনও বন্ধুর সন্দেহ হয়, তা হলে নতুন টুলগুলি ব্যবহার করে সরাসরি ফেসবুককে সে ব্যাপারে সতর্ক করে দিতে পারবেন৷ অথবা খবর পাঠাতে পারবেন সংশ্লিষ্ট আপদকালীন পরিষেবামূলক সংস্থাগুলির কাছে৷
সঙ্গে-সঙ্গে ব্যবস্থা নেবে ফেসবুক৷ যাকে ঘিরে সম্ভাব্য আত্মহত্যার সন্দেহ দানা বেঁধেছে, তাকে একগুচ্ছ মেসেজ তথা প্রশ্ন পাঠাবে তারা৷ যেমন, তিনি ওই সঙ্কটের মুহূর্ত থেকে বেরিয়ে আসার জন্য কোনও বন্ধুর সঙ্গে কথা বলতে চান কি না? তিনি একা রয়েছেন কি? মানসিক অবসাদ কাটাতে কোনও মনোবিদের সাহায্য চান কি না? ইত্যাদি৷
সেই সঙ্গে থাকবে ‘সুইসাইড প্রিভেনশন ফ্লো’৷ অর্থাৎ, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে পর-পর এমন সব লেখা ও ছবি দেখিয়ে যাবে ফেসবুক, যাতে তার মধ্যে ধীরে-ধীরে ‘জীবনমুখী’ মানসিকতা ফিরে আসে, মৃত্যুচিন্তার নেতিবাচকতা কেটে যায়৷ বন্ধুদের মোবাইল নম্বর, ই-মেল আইডি বা ফেসবুকের মেসেজ লিঙ্ক-ও পাঠানো হবে ওই ব্যক্তিকে৷ অবস্থা বিশেষ ভাবে সংকটজনক বুঝলে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা তথা স্থানীয় প্রশাসনকেও সতর্ক করতে পারে ফেসবুক৷ তাকে সেই মুহূর্তে কী ভাবে সাহায্য করা যাবে, সে ব্যাপারে তার ‘ফেসবুক বন্ধু’দের কাছেও ধারাবাহিক বার্তা যেতে থাকবে৷
ফেসবুকের মুখপাত্র সোমবার জানান, এ ব্যাপারে নজরদারি রাখার জন্য কোম্পানির একটি টিম চব্বিশ ঘণ্টা কাজ করবে৷ সঙ্কটের গুরুত্ব বিচার করে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এক-একটি ঘটনার সমাধানের চেষ্টা করা হবে৷ কী ধরনের পাল্টা বার্তা যাবে, তা ঠিক করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বয়সকেও বিবেচনার মধ্যে রাখা হবে৷ ‘ফেসবুকে আমাদের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হল মানুষকে নিরাপদে রাখা’, দাবি ওই মুখপাত্রের৷