ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনা নিজের মেয়ে শ্রাবনী শায়লার ভুমিকায় কোনো দোষ দেখেন না মা শাহনাজ বেগম শম্পা। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব ছবি প্রকাশিত হয়েছে তা সত্যি নয় বলে দাবি করেছেন তিনি।
ওই ঘটনায় শায়লা আহত হয়েছেন দাবি করে শম্পা জানান, তার মেয়ে গত ডিসেম্বর মাসে ভারতে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন। তার এপেনডিক অপারেশন হয়েছে সেখানে। এরপর থেকে শায়লা এখনো সুস্থ হতে পারেননি। সেদিনের ঘটনায় শায়লা গেলেও বাম সংগঠনের নেতাকর্মীরা শায়লাকে পিটিয়ে আহত করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। শায়লা বর্তমানে ঢাকার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গণমাধ্যমে এক নারীকে পিটিয়ে বিবস্ত্র করার যে ছবি প্রকাশিত হয়েছে, তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাবেক এই ছাত্রলীগ নেত্রী। তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমে যেসব ছবি প্রকাশিত হয়েছে, তা সত্য নয়। শায়লা ওই নারীর সম্ভ্রমহানি নয়, বরং তাকে ওড়না দিয়ে রক্ষা করতে গেছিল।’ তার মেয়ে এমন কোনো কাজ করতেই পারে না বলে তিনি দাবি করেন।
বর্তমান ছাত্র রাজনীতি সম্পর্কে সাবেক এই ছাত্রলীগ নেত্রী জানান, আগের চেয়ে বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি বিরাজ করছে। তিনি যখন ’৮৭-৮৮ সেশনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তখন বিএনপি-জামায়াত সরকার ক্ষমতায়। তখন ক্যাম্পাসে প্রতিদিনিই এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকত। তবে এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিবেশ অনেক ভালো। এখন কোনো হানাহানি নেই। সেশনজট নেই।
ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে শম্পা বলেন, ‘দল ক্ষমতায় থাকলে ছাত্র সংগঠনগুলো একটু চাঙ্গা হয়ে ওঠে। ঠিক আমরা যখন ছাত্রলীগ করতাম, তখন যেমন বিএনপি-জামায়াত মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। তবে ক্ষমতায় থাকলেও ছাত্রলীগে এখনো শৃঙ্খলা রয়েছে।’
শায়লার রাজনীতিতে আসা সম্পর্কে শম্পা বলেন, ‘আমাদের পুরো পরিবার আওয়ামী লীগ করে। আমি ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন ১৯৯১-৯৪ পর্যন্ত তাপসী রাবেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। আমার কর্তাও আওয়ামী লীগ সমর্থক। শায়লা মূলত আমাদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েই রাজনীতি শুরু করে। ছোট থেকে দুর্দান্ত ও মেধাবী শায়লা। ২০১৪ সালে রাজশাহী কলেজে পড়াশুনা করার সময় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে পুরোপুরি জড়িয়ে পড়ে। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরও ছাত্রলীগের সাথে রয়েছে। বর্তমানে সে বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।’