গতকাল বুধবার সারাদেশে ৬ শতাধিক শ্রমিককে জানিয়ে দেওয়া হয় তাদের আজ বৃহস্পতিবার ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আর কাজে আসতে হবে না। তাত্ক্ষণিক প্রতিবাদ জানিয়ে শ্রমিক-কর্মচারীরা সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে গতকাল রাতেই বিষয়টি অবহিত এবং লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। গ্রামীণফোনের গাজীপুরের মটবাড়ি কেতন কালীগঞ্জের ওয়ারহাউজে কর্মরত অফিস সহকারী শরিফুল ইসলাম জানান, সকাল ৯টায় অফিসে প্রবেশ করে দৈনন্দিন কার্যক্রম শেষে বিকাল ৪টায় বের হওয়ার সময় তাদের জানিয়ে দেওয়া হয় তাদের আর বৃহস্পতিবার থেকে কর্মস্থলে আসতে হবে না।
শরিফুল ইসলাম জানান, এ ঘটনার পর গাজীপুরের কালিগঞ্জ থানায় তিনি জিডি করেন (যার নং ১০৭৪/৩১-০১-২০১৮)। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, ঐ ওয়্যার হাউজে কর্মরত ৫৭ জনকে বিনা নোটিসে গ্রামীণফোন লিমিটেড ওয়্যারহাউজের ১ নম্বর লিড ম্যানেজার জিয়াউল করিম, ২ নম্বর স্পেশালিস্ট আনোয়ার হোসেন ও ৩ নম্বর স্পেশালিস্ট ইমরান হোসেন বুধবার বিকাল ৪টার পর আর ভিতরে ঢুকতে দেয়নি। তারা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন। ঐ জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, তাদের প্রবেশে বাঁধা সম্পর্কে কোনো কিছু তারা অবগত নয়। তাই এ অবস্থায় অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটলে তার দায়ভার গ্রামীণফোনে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীরা গ্রহণ করবে না। তিনি বলেন, তাদেরকে এভাবে হয়রানি করে গ্রামীণফোন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। তারা এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার প্রতিবাদে তাদের কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে মানবিক সাহায্যের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এর জন্য কিছু হলে গ্রামীণফোনকে দায় নিতে হবে।
শরিফুল ইসলাম বলেন, শ্রম আদালতের রায়ে আমরা গ্রামীণফোনের শ্রমিক। আমাদের গ্রামীণফোনের আইডি কার্ডও রয়েছে। শ্রম আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে গ্রামীণফোন উচ্চ আদালতে আপিল করেছে। সেটা এখনো বিচারাধীন। এই পরিস্থিতিতে গ্রামীণফোন আমাদের চাকরিচ্যুত করতে পারে না। গ্রামীণফোনের শ্রমিক-কর্মচারী ট্রেড ইউনিয়নের বি-২১৬১ (যা হাইকোর্ট কর্তৃক স্থগিত) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান ইত্তেফাককে জানান, সারাদেশে আমাদের ৬ শতাধিক সহকর্মীর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে স্ব-স্ব অফিসে না আসতে বলা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ বে-আইনীভাবে তারা করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে তারা সাংগঠনিক ভাবে ও প্রশাসনিক সহযোগিতার মাধ্যমে এ হয়রানির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবেন।