সৈয়দ আহমেদ জামাল(৫৫) বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের রেকর্ড না থাকার পরও গত ২৪ জানুয়ারি সকালে কানসাসের লরেন্স শহরে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট’ (আইসিই) কর্মকর্তারা। তাকে মিজৌরিতে মরগান কাউন্টির কারাগারে রাখা হয়েছে।
জামালের ১৪, ১২ ও ৭ বছর বয়সের তিন সন্তান যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। তার পাঁচ ভাইবোনের সবাইও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’ পত্রিকা জানায়, স্টুডেন্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্র যাওয়া জামাল একসময় এইচ-ওয়ানবি (বিদেশ থেকে দক্ষকর্মী নিতে যুক্তরাষ্ট্র এই ভিসা দেয়) ভিসায় সেখানে কাজ শুরু করেন। পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ার সময় তিনি আবারও স্টুডেন্ট ভিসা নেন।
তিন সন্তানের জনক জামাল বর্তমানে ‘টেম্পরারি ওয়ার্ক পারমিট’ এ যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তিনি কানসাস সিটির পার্ক ইউনিভার্সিটিতে রসায়নের সহযোগী অধ্যাপক। এছাড়া, স্থানীয় কয়েকটি হাসপাতালে গবেষক হিসেবেও কাজ করেন।
কানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ে মলিকুলার, সেলুলার এবং ডেভেলপমেন্টাল বায়োলজিতে পোস্ট গ্যাজুয়েশন করা জামাল বিজ্ঞানমনস্ক হওয়ার কারণে কট্টরপন্থীদের হাতে খুন হওয়ার আশঙ্কায় আর দেশে ফেরেননি।
পরবর্তীতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী বসবাসের জন্য ভিসার আবেদন করলে তা খারিজ করে দেয় অভিবাসন আপিল বোর্ড। ওই আপিলে হেরে যাওয়ার চারবছর পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হল বলে জনিয়েছেন ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট’ (আইসিই) কর্মকর্তারা।
সৈয়দ আহমেদ জামাল জামাল কানসাসের লরেন্সে জনপ্রিয় মুখ। তার মুক্তির জন্য পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও প্রতিবেশীরা জনমত তৈরি করতে স্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু করেছে। এরই মধ্যেই শত শত স্বাক্ষর সংগ্রহ হয়েছে।