দেশের প্রথম এই স্যাটেলাইটের (বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট) উৎক্ষেপণ কার্যক্রম ঘনিয়ে আসছে উৎক্ষেপণের দিন। নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাহেন্দ্রক্ষণকে স্মরণ করে রাখতে চায় বাংলাদেশ। এজন্য সারা দেশে উৎসবমুখর পরিবেশে মুহূর্তটি উদযাপন করা হবে। কেন্দ্রীয়ভাবে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠান ছাড়াও ওইদিন সারা দেশে আতশবাজি উৎসবের সঙ্গে উড়বে রঙিন বেলুন।
আগামি মার্চের ২৬-৩১তম দিনের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য এখন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা আছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ আমাদের জন্য বড় ঘটনা। নিজেদের স্যাটেলাইট ব্যবহার অবশ্যই বড় বিষয়। এজন্য সারাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশে দিনটি উদযাপন করা হবে।
ফ্রান্সের থ্যালাস এলিনিয়া স্পেসের কারখানায় তৈরি স্যাটেলাইটটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কেপ ক্যানাভেরাল থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে। গত বছরের ডিসেম্বরে উৎক্ষেপণের কথা থাকলেও ফ্লোরিডায় ‘ইরমা’ ঝড়ের কারণে সূচি পিছিয়ে যায়।
মন্ত্রণালয়ের নথি থেকে জানা যায়, ৭০ শতাংশ স্যাটেলাইটের ক্ষেত্রে উৎক্ষেপণের সময় সামান্য যান্ত্রিক ত্রুটি-বিচ্যুতির কারণে যথাসময়ে উৎক্ষেপণ সম্ভব হয় না। অধিকাংশ সময়ই নতুন করে ৮-১০ ঘণ্টা সময় নিয়ে উৎক্ষেপণ করতে হয়।
টেলিযোগাযোগ বিভাগ জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় উৎক্ষেপণের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াও দেশে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে হবে মূল অনুষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকবেন ওই অনুষ্ঠানে।
প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণ বাংলায় হলেও আরবি, ইংরেজি, ফরাসি ও রাশিয়ান ভাষায় সাব-টাইটেল প্রস্তুত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
টেলিযোগাযোগ বিভাগ জানায়, ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী দিনে অনুষ্ঠিত হলে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরপরই দেশব্যাপী বেলুন ওড়ানোর আয়োজন এবং একই দিন সন্ধ্যায় আতশবাজি প্রদর্শনী হবে। আর যদি বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা বা রাতে উৎক্ষেপণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়, সেক্ষেত্রে বেলুন ওড়ানো হবে না। শুধু আতশবাজি প্রদর্শনী হবে।
একজন কর্মকর্তা জানান, সব বিভাগ, জেলা, উপজেলা এবং ঢাকা শহরের অনুষ্ঠানস্থলসহ হাতিরঝিল, উত্তরা রাজউক স্কুল, স্টেডিয়াম, আহসান মঞ্জিল, কাচপুর ব্রিজে আতশবাজি প্রদর্শন করা হবে।