জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা হিসেবে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের জেলের পাশাপাশি ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে পুরান ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত।
বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। এ ছাড়া এই মামলার অন্য আসামি তারেক রহমানসহ বাকিদের ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এদিকে বিচারক এজলাসে বসেই খালেদা জিয়ার প্রাইভেট সিকিউরিটি যেন না থাকে সে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। এরপর তিনি ৬৩২ পৃষ্ঠার রায়ের সারসংক্ষেপ পড়া শেষে খালেদা জিয়ার ৫ বছরের জেল দেন আদালত।
এর আগে বিচারক সকাল ১০টা ২০ মিনিটে আদালতে পৌঁছান। আর বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে গুলশানের বাসা থেকে আদালতের উদ্দেশে রওনা হয়ে দুপুর ১টা ৫১ মিনিটে আদালতে পৌঁছান খালেদা জিয়া। দুপুর ২টা ১০ মিনিটে বিচারকে ওঠেন এজলাসে। আর সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে খালেদা জিয়ার হাজিরা জমা দেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া।
আদালতে বিচারক প্রবেশের আগে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, আব্দুর রেজ্জাক খানসহ বেশকিছু বিএনপিপন্থী আইনজীবী ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল, ঢাকা মহানগরের পিপি আবু আবদুল্লাহসহ আরও কিছু আইনজীবী সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০টা ১০ মিনিটের মধ্যে আদালতে প্রবেশ করেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কুয়েত থেকে এতিমদের জন্য পাঠানো দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি করে দুদক। ওই বছরই ৪ জুলাই মামলাটি গ্রহণ করেন আদালত। তদন্ত শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক হারুন-অর রশিদ ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন।
মামলায় খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে তারেক রহমান ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক মুখ্যসচিব কামালউদ্দিন সিদ্দিকী এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।