খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন অনিশ্চিত রোববারও, কারণ কি?

খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন অনিশ্চিত রোববারও, কারণ কি?

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কবে নাগাদ জামিন পাবেন তা এখনো স্পষ্ট নয়।

তার আইনজীবীরা বলছেন, রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর জামিন আবেদন করা হবে। তবে রোববারের আগে রায়ের কপি হাতে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

এবিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আগামী রোববারই আমরা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।

তবে রায় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রোববার যে আপিল করা সম্ভব হচ্ছে না, সেটি অনেকটাই নিশ্চিত। কারণ, খালেদা জিয়ার আইনজীবীরাও ভালো করে জানেন, আপিলের প্রক্রিয়া নির্ভর করছে রায়ের সার্টিফাইড কপি পাওয়ার পর। আর শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। ঠিক পরের দিনই ৬৩২ পৃষ্ঠা রায়ের এই কপি কীভাবে পাবেন, তা তারাই ভালো জানেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লা মিয়া জানান, তারা আশা করছেন রোববারই রায়ের সার্টিফাইট কপি হাতে পাবেন। এরপর রাতেই কাগজপত্র তৈরি করে সোমবার আপিল করবেন।

তবে তিনি আগামী সপ্তাহে জামিনের বিষয়ে আশানুরূপ ফলাফল প্রত্যাশা করছেন না।

প্রবীণ আইনজীবী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার ভিন্ন এক আশঙ্কা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘রায়ের সার্টফাইট কপি পেতে একদিনও লাগে, আবার এক মাসও লাগে। এদেশে তো সব কিছু নির্ভর করে সরকারের মর্জির ওপর।

তিনি বলেন, ‘মামলাটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন হলেও যা ঘটে গেছে, তা বাংলাদেশের ইতিহাসে অনেক বড়। এখন দেখার বিষয়, সরকার কিভাবে এটিকে ডিল করে?’

সপ্তাহের শুরুতে রায়ের সার্টিফাইট কপি না পেলে আগামী ১০/১৫ দিনের মধ্যে খালেদা জিয়ার উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে মুক্তির সম্ভাবনা কম বলেও মনে করেন জমিরউদ্দিন সরকার।

তবে তিনি এও জানান, রোববারই সার্টিফাইড কপি পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে আপিল আবেদন পুটআপ হবে। উচ্চ আদালত শুনানি গ্রহণ করে জামিন মঞ্জুর করলে খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন বলে আশা করা যায়।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৫বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এ মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১০ বছর কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ফেব্রুয়ারি) বেলা আড়াইটার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন মামলার বিচারক ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান।

মামলার অন্যান্য ৫ আসামীকেও ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সাজা প্রাপ্ত অন্য আসামীরা হলেন- সাবেক সাংসদ ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের বোনের ছেলে মমিনুর রহমান। মামলায় শুরু থেকে পলাতক আছেন তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান।

রায়ে ২কোটি ১০লক্ষ ৭১ হাজার টাকা সমপরিমান জরিমানাও ধার্য করা হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ২টার দিকে আদালতে পৌঁছায় খালেদা জিয়ার গাড়ি বহর।