জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে করা আপিলের শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আদালতের এই দিন ধার্যকে কেন্দ্রকরে খালেদা জিয়া কি জামিন পাবেন কি পাবেন না এ নিয়ে জনমতে আবারও দেখা দিয়েছে নানা গুঞ্জণ।
এর আগে মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা তিনটার দিকে বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। আপিলের ফাইলিং আইনজীবী হলেন দুদক আইনজ্ঞ অ্যাডভোকেট আবদুর রেজাক খান।
আপিলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। এই মামলায় অন্য আসামি খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ আরো চারজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি ৬৩২ পৃষ্ঠা রায়ের সার্টিফাইড কপির জন্য তিন হাজার পৃষ্ঠার কার্টিজ পেপার আদালতে জমা দেন খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। কিন্তু গতকাল সোমবার এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ১৩ দিন ধরে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। রায়ের সার্টিফাইড কপি না মেলায় জামিন আবেদন করতে পারেননি তিনি।