একদম নীরবে নিভৃতেই চলে গেলেন খাওয়ার স্যালাইনের অন্যতম আবিষ্কারক ড. রফিকুল ইসলাম। সোমবার সকালে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
এর আগে গত মাসে হার্ট অ্যাটাকের কারণে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এছাড়া আরও বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন রফিকুল ইসলাম।
তার তৈরি খাবার স্যালাইন বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ শিশুর জীবন বাঁচাতে ভূমিকা রেখে চলেছে। বর্তমানে ফার্মেসিতে যে স্যালাইন পাওয়া যায় তা হাতের কাছে না থাকলে এক মুঠো চিনি বা গুড় আর তিন আঙ্গুলের এক চিমটি লবণ আধা লিটার বিশুদ্ধ পানিতে মিশিয়েও যে ডায়রিয়া প্রতিরোধকারী স্যালাইন তৈরি করা যায় –তা আবিষ্কারে অগ্রগণ্য ভূমিকা রাখেন তিনি।
তার এই আবিষ্কারকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার বলে আখ্যা দিয়েছিল ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল দ্য ল্যান্সেট।
রফিকুল ইসলাম ১৯৩৬ সালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করে তিনি আইসিডিডিআরবিতে যোগ দেন। এছাড়া তিনি ব্রিটেনে ট্রপিক্যাল মেডিসিন ও হাইজিন বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন।
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধেও তিনি স্বশরীরে যুদ্ধ করেছেন। তিনি ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ডাক্তার হয়ে নয়, বিক্রমপুর অঞ্চলে তিনি সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পশ্চিমবঙ্গে শরণার্থী শিবিরগুলোতে কলেরা ছড়িয়ে পড়ার পর তার উদ্ভাবিত স্যালাইন লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ রক্ষা করে।