কক্সবাজারের চকরিয়ায় ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রের বিরুদ্ধে ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ওই ছাত্রীকে অপহরণের আটদিন পেরিয়ে গেলেও তাকে উদ্ধার করা যায়নি। অভিযুক্ত ওই ছাত্রের নাম প্রভাস জলদাস।
অপহৃত ছাত্রীর মা-বাবার দাবি, প্রভাস জলদাসের নেতৃত্বে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচজেনর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামী করে চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ সোমবার অপহৃত ছাত্রীর মা আমাদের সময়কে জানান, তাদের বাড়ি কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইসলামাবাদ জলদাস পাড়ায়। তারা স্ব-পরিবারে চকরিয়া পৌরসভার ভরামুহুরীরর হরি মাস্টারের ভাড়া বাসায় থাকেন। এই বাসা থেকেই তাদের মেয়ে চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়ে যাতায়ত করে। একই এলাকার ও স্কুলের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র প্রভাস ও দুলাল দাস বিভিন্ন সময় তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতো। যার পরিপ্রেক্ষিতে এই দুজনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন তারা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৫ মার্চ দুপুর আড়াইটার দিকে স্কুল থেকে ফেরার পথে প্রভাসের নেতৃত্বে ৮-৯ জন যুবক জোরপূর্বক তার মেয়েকে একটি গাড়িতে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এদিকে মেয়ে বাড়ি না ফেরায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও না পেয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) অপু বড়ুয়া আমাদের সময়কে জানান, ‘অপহৃত ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করতে একাধিক সোর্স নিয়োগ করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে সন্ধানও চলছে।
তবে, ৮ম শ্রেণীর ওই ছাত্রী ও অভিযুক্ত ৭ম শ্রেনীর ছাত্র প্রভাস জলদাসের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলেও এলাকার লোকজন জানায়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী আমাদের সময়কে বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে জানতে পেরেছি অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছাত্র-ছাত্রী প্রেমকে প্রণয়ে রুপ দিতে পালিয়েছে। তবে, অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় ছাত্রীর মা বাদি হয়ে দেয়া এজাহারটি মামলা হিসেবে এন্ট্রি করা হয়েছে। ভিকটিমকে উদ্ধার ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।’