সরকারি দলের যে চার থেকে পাঁচজন বেশি গণতন্ত্রের কথা বলেন তাদের নির্বাচনী এলাকাতেই গণতন্ত্র নেই বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ।
তিনি বলেছেন, তার এই বক্তব্য মিথ্যা বা অসত্য প্রমাণিত হলে তিনি রাজনীতিই ছেড়ে দিবেন।
সংবাদ মাধ্যমের উদ্দেশে মওদুদ বলেন, গণমাধ্যমের কাছে অনুরোধ-তাদের নির্বাচনী এলাকায় যান। আপনারা যে দৃশ্য দেখবেন তা হচ্ছে, তারা নিজেদের এলাকায় নির্বাচিত হননি, কোন ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের যেতে হয়নি। নিজেদের এলাকায় বিরোধী দলকে কোন ঘরোয়া বৈঠক পর্যন্ত তারা করতে দেন না।
জাতীয় প্রেসক্লাবে শনিবার নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত এক প্রতিবাদী আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
‘দেশমাতার কারাবাস দীর্ঘায়িত করার সরকারি ষড়যন্ত্র বন্ধ ও সকল রাজবন্দীর অনতিবিলম্বে মুক্তির দাবি’ শীর্ষক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যারিষ্টার মওদুদ বলেন, যারা গণতন্ত্রের কথা বলেন, তারা সকালে উঠে আয়নায় নিজের চেহারা দেখেন, আর বলেন, সত্য কথা বলবেন না মিথ্যা কথা বলবেন। তখনই আপনারা উত্তর পাবেন।
নির্বাচনের বিজয় আনুষ্ঠানিকতা বাকি মাত্র- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার মানে নীল- নকশা অনুযারি নির্বাচন হয়ে গেছে, সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতা। এখন শুধু গেজেট নোটিফিকেশন এবং শপথ গ্রহণ হবে। তো করে নেন (সরকারকে)। আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত দরকার আছে বলে মনে করি না।
মওদুদ বলেন, সুতরাং এত দিন বিএনপি সন্দেহ করে আসছিলো, আজকে তাদের (সরকার) মনে যা আছে সেটা হঠাৎ করে বলে দিয়েছে। দেশের মানুষের কাছে সরকার ধরে পড়ে গেছেন। কিন্তু নীল-নকশার নির্বাচন বাংলাদেশের মাটিতে হতে দেওয়া হবে না। এই নীল-নকশা আপনারা বাস্তবায়ন করতে পারবেন না।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিশ্বে স্বৈরাচার সরকারের পতন যেভাবে হয়েছে বর্তমান সরকারেরও পতন একইভাবে হবে। এটা অবধারিত। এখন শুধু সময়ের ব্যাপার।
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা নাছির উদ্দিন হাজারীর সভাপতিত্বে সভায় সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ বক্তব্যে রাখেন।