বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে প্রয়োজন বোধে রক্তের প্রয়োজন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ।
১৭ মার্চ, শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের হল রুমে বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া ও স্মরণসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন স্মৃতি ফাউন্ডেশন নামক একটি সংগঠন ওই সভার আয়োজন করে।
এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দেশ ও জাতির সঠিক চাওয়া পাওয়ার জন্য, অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জেলে যেতে হয়েছে, অন্য কোনো কারণে নয়। তারপরও বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে, নিয়মতান্ত্রিকভাবে দাবি আদায় করতে কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে রক্তের প্রয়োজন হতে পারে। যদিও আমরা এই মুহূর্তে প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। যখন সময় হবে তখন দেখা যাবে। কারণ রক্তের প্রয়োজন হলে বাঙালি এক্ষেত্রে রক্ত দিতে ভুল করবে না।’
বিএনপি ঘরানার এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, ‘সরকারের ভাবনা ছিল, খালেদা জিয়া কারান্তরীণ হলে বিএনপি খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তব চিত্র ঘটেছে ভিন্ন। বরং বিএনপি অতীতে যতটুকু ঐক্যবদ্ধ ছিল বর্তমানে তার চেয়ে বেশি ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।’
বিএনপির জন্ম হয়েছে ক্যান্টনমেন্টে, এ ধরনের মন্তব্যকারীদের সমালোচনা করে এমাজউদ্দিন বলেন, ‘যারা এই ধরনের কথা বলে কটাক্ষ করেন তাদেরকে বলছি, বাংলাদেশের জন্ম ক্যান্টনমেন্টে, মুক্তিযুদ্ধের সূচনাও হয়েছিল ক্যান্টনমেন্টই।’
স্মরণসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, ড.অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, নির্বাহী কমিটির সদস্য খোন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলু, এবং ছড়াকার আবু সালেহ, ২০ দলীয় জোট নেতা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ বক্তব্য দেন।