কাঠমান্ডুতে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ২৩ বাংলাদেশিকে শ্রদ্ধা জানাতে আর্মি স্টেডিয়ামে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে বিকাল ৪টায় নিহতদের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার সকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর আইএসপিআর এ তথ্য জানায়। আইএসপিআর সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, নিহত ২৩ জনের মরদেহ বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিশেষ প্লেনে বিকেল ৩টায় ঢাকায় আনা হবে। ৪টায় আর্মি স্টেডিয়ামে সম্পন্ন হবে তাদের নামাজে জানাজা। এতে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জানা যায়, জানাজার পর নিহতদের মরদেহ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। গত ১২ মার্চ ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণকালে বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট। এতে নিহত হন ৪৯ জন। যাদের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি। ময়না-তদন্ত সাপেক্ষে এদের মধ্যে ২৩ জনের মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। যে তিন বাংলাদেশির মরদেহ শনাক্ত করা যায়নি, তারা হলেন- নজরুল ইসলাম, পিয়াস রয় ও আলিফুজ্জামান। তাদের ডিএনএ পরীক্ষা করতে হবে। অবশিষ্ট তিন মরদেহ শনাক্ত করারও প্রক্রিয়া চলছে।
২৩ বাংলাদেশির মধ্যে রয়েছেন-উম্মে সালমা, আঁখি মনি, বেগম নুরুন্নাহার ও শারমিন আক্তার, নাজিয়া আফরিন ও এফ এইচ প্রিয়ক, -বিলকিস আরা, আখতারা বেগম, মো. রকিবুল হাসান, মো. হাসান ইমাম, মিনহাজ বিন নাসির, তামারা প্রিয়ন্ময়ী, মো. মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহারা তানভীন শশী রেজা, অনিরুদ্ধ জামান, রফিক উজ জামান এবং পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশিদ, খাজা সাইফুল্লাহ, ফয়সাল, সানজিদা ও নুরুজ্জামান।
মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনায় আহত হন ১০ বাংলাদেশি। এদের মধ্যে ডা. রেজওয়ানুল হক শাওন ও ইমরানা কবির হাসি নামে দুই জনকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঢাকায় আনা হয়েছে শাহীন ব্যাপারি, মেহেদী হাসান, তার স্ত্রী কামরুন নাহার স্বর্ণা, আলমুন নাহার অ্যানি, শেহরিন ও শেখ রাশেদ রুবায়েতকে। বাকি দুই জনের মধ্যে ইয়াকুব আলীকে দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে। কবির হোসেন নামে অপর যাত্রীকে আনা হবে সোমবার।