এ দেশের মানুষ চায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জেলেই থাকুক। কারণ, এতিমের টাকা চুরি করেছে খালেদা জিয়া। আর সেই দুর্নীতির মামলা করেছে দুদক। এ দেশের মানুষ কিভাবে দুর্নীতির মামলার পক্ষে রাস্তায় আন্দোলন করে।
এখন যদি বেগম জিয়ার জামিন হয় তাহলে বিএনপির নেতারা বলবে জামিন হয়েছে এখন মামলা খালাস করে দিতে হবে। আবার তারা আন্দোলন করবে মানুষ পুরাবে। আমাদের উন্নয়নশীল দেশ আবারও পিছিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা অপু উকিল।
গত (১৮ মার্চ) রবিবার বেসরকারি একটি টেলিভিশনের টকশোতে তিনি এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, আদালত খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের কাছে যখন এতিমখানার ঠিকানা জানতে চেয়েছে তখন কেউ বলতে পারেনি সেটি কোথায়। তিনি দুর্নীতি করেছেন জেলে গিয়েছেন। এ দেশে দুর্নীতির স্থান নেই। দুর্নীতি হলে এই দেশ কোনো ভাবেই এগিয়ে যাবে না। আমাদের আগামী প্রজন্ম দুর্নীতি দেখতে চায়না।
খালেদা জিয়ার এই মামলা একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। যার কারণে দেশের মানুষ আর কখনো দুর্নীতি করতে সাহস পাবেনা।
টকশোতে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ফাহিমা নাসরিন মুন্নি।
আওয়ামী লীগের সাবেক এই সংসদ সদস্যর পাল্টা জবাবে নাসরিন মুন্নি বলেন, খালেদা জিয়া তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তার নামে যে মামলা হয়েছে প্রথম আয়ু বলেছে দুর্নীতির এই মামলার সাথে বেগম জিয়ার কোন সম্পৃক্ততা নেই। দ্বিতীয় যে আয়ু ছিলেন বিএনপির সময় উনার চাকরি ওখান থেকে বরখাস্ত করেছেন যে কারণে একটু রাগ ছিল, উনাকে দিয়ে তরিঘরি করে ১৫ দিনের মধ্যে একটা রিপোর্ট দিলেন।
দুর্নীতি মামলার যে মূল ডকুমেন্ট তা রাষ্ট্র পক্ষ কেউ দেখাতে পারেনি। তাড়াহুড়ো করে ঘষামাজা করে একটি ডকুমেন্ট তৈরি করেছেন। বেগম জিয়ার এই মামলার কোনো কাগজে কোথাও একটি সাইন নেই। এটা একটি প্রাইভেট ট্রাস্ট। এখানে সরকারী কোনো হস্তক্ষেপ থাকেনা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একটি কথা বলেছেন, এখন নির্বাচন একটি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। আনুষ্ঠানিকতা ভাবে দেশের কোটি কোটি টাকা খরচ করে জাতীয় নির্বাচনকে তামাশা করার কোনো মানে হয় না। আপনারা বলে দিলেই হয়, এটা রাজতন্ত্র দেশ। একজন নেত্রীর মাধ্যমে দেশ চলবে। অতীতের উদাহরণ দিয়ে বলেন, আপনারাই ক্ষমতায় থাকবেন সারাজীবন।