মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বর্ণিল ও জাকজমকপূর্ণ করার লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ চত্বরে প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে।
বরাবরের মতোই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে চলছে মঙ্গল শোভাযাত্রার শিল্পকর্ম তৈরির কাজ। কাঠ, বাঁশ, বেত, কাগজ, রং নিয়ে ব্যস্ত শিল্পীরা। শিল্প গড়ার শব্দের সঙ্গে পাখির ডাকাডাকি, অন্যরকম আবহে আপন মনে কাজ করছেন চারুকলার শিক্ষার্থীরা।
বাউল সম্রাট লালন শাহের কালজয়ী গান "মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি", এই প্রতিপাদ্য নিয়েই উদযাপিত হবে ২৯তম মঙ্গল শোভাযাত্রা। সোনার মানুষ হওয়ার আহবান জানানো হবে বাংলা ১৪২৫ সনের নববর্ষের প্রথম দিনে।
শিল্পকর্মগুলো তৈরি করা হচ্ছে শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্যের সাথে মিল রেখে।
চারুকলা অনুষদের প্রধান ফটকে মাটির সরায় চলছে রংয়ের কাজ। এসব সরাতে আঁকা হচ্ছে নানান রকম জীবজন্তু। বর্ষবরণ অনুষ্ঠান উদযাপনের তহবিল গঠনের জন্য আয়োজন করা হয়েছে মেলা। এখানে জল রংয়ের চিত্রকর্ম বিক্রি করছেন শিক্ষার্থীরা।
চারুকলা অনুষদের ডিন জানান, বাঙালির সংস্কৃতির ভেতর দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র বিনির্মাণের জন্য অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বানই হচ্ছে এই শোভাযাত্রার মূল লক্ষ্য।
২০১৬ সালের ৩০শে নভেম্বর ইউনেস্কো পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও, সরকার এখনো রহস্যজনক কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে তার স্বীকৃতি দেয়নি।