করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে, এছাড়া নতুন করে আরও ছয়জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা যাওয়ার কথা জানিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছাল তিনজনে। আইইডিসিআর বলছে, আর গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে নতুন করে সংক্রমণ ঘটেছে ৬ জনের। সব মিলিয়ে দেশে এখন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩৩ জন।
আজ সোমবার রাজধানীর মহাখালীতে আইইডিসিআরের কার্যালয়ে সংস্থাটির পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ কথা জানান।
মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ছয়জনের মধ্যে একজন চিকিৎসক ও দুজন নার্স রয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে একজনের অবস্থা সংকটপূর্ণ হওয়ায় তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। তিনি কিডনি সংক্রান্ত জটিলতায় আগে থেকেই ভুগছিলেন।
মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, আক্রান্ত ৩৩ জন রোগীর মধ্যে ১০ বছরের নিচে আছে দুজন, ১০ থেকে ২০ বছর বয়সীদের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে নয়জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের মধ্যে নয়জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সীর মধ্যে পাঁচজন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে একজন এবং ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে আছেন ছয়জন।
কোন কোন জেলার ব্যক্তিরা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তা জানতে চাইলে মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, ৩৩ জন আক্রান্ত রোগীর মধ্যে ঢাকা শহরে বাস করতেন এমন ব্যক্তি রয়েছেন ১৫ জন। এরপর মাদারীপুরের ১০ জন, নারায়ণগঞ্জের তিনজন, গাইবান্ধায় দুজন, কুমিল্লাতে একজন, গাজীপুরে একজন এবং চুয়াডাঙ্গায় একজন রয়েছেন। যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে ১৩ জন বিদেশ থেকে ভ্রমণ করে এসেছেন। বাকিরা এঁদের মাধ্যমে কোনো না কোনোভাবে সংক্রমিত হয়েছেন।
মীরজাদী সেব্রিনা আরও বলেন, বিদেশ থেকে যাঁরা এসেছেন তাঁদের মধ্যে ইতালি থেকে ছয়জন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুজন, ইতালি বাদে ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে দুজন, বাহরাইন থেকে একজন, ভারত থেকে একজন ও কুয়েত থেকে একজন এসেছেন। আক্রান্তদের একজন বাদে সবার অবস্থা স্থিতিশীল। এই ৩৩ জনের মধ্যে পাঁচজন সুস্থ হয়ে ইতিমধ্যে বাড়ি ফিরে গেছেন।
বাংলাদেশে ৮ মার্চ প্রথম তিনজন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়। আর ১৮ মার্চ একজনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়।
দুদিন পর ২১ মার্চ আরও এক বৃদ্ধের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক।১৯০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া কোভিড-১৯ রোগকে ইতিমধ্যে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-হু। এতে মৃত্যুর সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে।