সরকারের দেওয়া শর্তের ভিত্তিতে মুক্তি পেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আজ বুধবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রিজন সেল থেকে ছাড়া পান তিনি। বেলা দুইটার কিছু পর কারা কর্তৃপক্ষ মুক্তির ছাড়পত্র নিয়ে বিএসএমএমইউতে যায়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব আব্দুস সাত্তার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বেলা তিনটা পাঁচ মিনিটের দিকে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেল থেকে মুক্তি দেওয়ার পর পরিবারের সদস্য ভাই ভাই শামীম ইস্কান্দার, বোন সেলিনা ইসলাম ও ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বড় বোন শাহিনা খান জামান বিন্দুএবং বিএনপির মহাসচিব তাকে গ্রহণ করেন।বেলা আড়াইটার দিকে তাঁদের গাড়ি হাসপাতাল চত্বরে ঢোকার পরই কয়েক শ নেতা-কর্মী সেখানে জড়ো হন।
গতকাল মঙ্গলবার খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা দেওয়ার পরপরই দলের নেতা-কর্মীরা বিএসএমএমইউর সামনে যান। আজ দুপুর ১২টায় প্রথমে বিএনপিপন্থী চিকিৎসক সংগঠনের সদস্য ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আসতে শুরু করেন।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে হঠাৎ করেই ডাকা সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়াকে মুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, মানবিক দিক বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দুই শর্তে তাকে মুক্তি দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। খালেদা জিয়া বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশ যেতে পারবেন না- এমন শর্তে তাকে মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুর্নীতির মামলায় সাজা ভোগ করছেন। শারীরিক নানা সমস্যা নিয়ে তিনি প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন। তবে বিএসএমএমইউর উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া বলেছেন, খালেদা জিয়া তাঁর চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ শুনছেন না।
শারীরিক অসুস্থতার কথা তুলে ধরে আইনজীবীরা একাধিকবার খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন করেন। প্রতিবারই তা নাকচ হয়ে যায়। গতকাল আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংবাদ ব্রিফিং করে ছয় মাসের জন্য দণ্ড স্থগিত করে খালেদা জিয়াকে মুক্তির ঘোষণা দেন।