সোমবার ভোরে সর্দি, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ফরহাদ হোসেন (৩২) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। পেশায় কৃষিশ্রমিক ফরহাদ দিনাজপুরের বিরামপুরে উপজেলার জোতবানি ইউনিয়নের তফসি গ্রামের হানিফ উদ্দিনের ছেলে। ইতিমধ্যে গ্রামের পুরো এলাকায় পাহারা বসিয়েছে গ্রাম পুলিশ।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৮ মার্চ ফরহাদ হোসেনসহ তিনজন কাজের সন্ধানে কুমিল্লার লাকসামে যান। সেখানে ইতালিফেরত এক প্রবাসীর বাড়িতে থেকে কৃষিজমিতে কাজ শুরু করেন ফরহাদ। সেখানে যাওয়ার পাঁচ থেকে ছয় দিন পরই তিনি শরীরে জ্বর অনুভব করতে থাকেন। প্যারাসিটামল–জাতীয় ওষুধ সেবন করেন। তাতেও জ্বর না সারলে ২২ মার্চ ফরহাদ ও তাঁর সঙ্গীরা এলাকায় ফিরে আসেন। এলাকায় এসে স্থানীয় পল্লি চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা নেন ফরহাদ। গায়ে জ্বর ও শুকনো কাশি নিয়ে আজ ভোররাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
ফরহাদের সঙ্গে কাজে যাওয়া মো. খলিলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘কুমিল্লায় যে বাড়িতে আমরা থাকতাম, সেখানে আমাদের সঙ্গে রংপুর এলাকার অনেক শ্রমিক থাকতেন। কুমিল্লায় যাওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে ফরহাদ জ্বরে পড়েন। তাঁর জ্বর সারছিল না দেখে আমরা একসঙ্গে বাড়িতে চলে আসি।’
দিনাজপুরের সিভিল সার্জন আবদুল কুদ্দুস আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ‘মৃত্যুর সময়ও ফরহাদের সর্দি, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট ছিল। করোনাভাইরাসেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে কি না আমরা নিশ্চিত নই। তবে আমরা জানতে পেরেছি, কুমিল্লায় এক ইতালিফেরত প্রবাসীর বাসায় থেকে কাজ করতেন ফরহাদ। আমরা ইতিমধ্যে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে (আইইডিসিআর) বিষয়টি জানিয়েছি। তারা মৃত ব্যক্তির শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে আসছে। নমুনা পরীক্ষার পরে প্রকৃত বিষয়টি জানতে পারব। সেই সঙ্গে মৃত ব্যক্তির পরিবার থেকে শুরু করে পুরো এলাকার সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’