কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বরকড়ই গ্রামের কৃষক মো. ইউনুসের স্ত্রী মারুফা বেগম। একসঙ্গে পাঁচ সন্তান প্রসব করেছেন তিনি ।তবে প্রসবের পরপরই হাসপাতালেই মারা যায় তিন শিশু আর পরে বাসায় নিয়ে যাওয়ার পর বাকি দুটিরও মৃত্যু হয়। পাঁচ সন্তান জন্মদানের এমন ঘটনা ঘটেছে কচুয়া টাওয়ার হাসপাতাল নামে বেসরকারি একটি ক্লিনিকে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় প্রসবব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মারুফা বেগম (২৫)।তবে প্রসবের আগে মারুফা তার বাবার বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার আন্দিরপাড়ে অবস্থান করছিলেন।
জানা যায়, মারুফা বেগম স্বাভাবিকভাবে পরপর পাঁচটি সন্তান প্রসব করেন। এর মধ্যে চারটি ছেলে এবং একটি মেয়ে। তবে অপরিণত বয়সের হওয়ায় জন্মের কিছুক্ষণ পর তিনটি শিশু মারা যায়। এদিকে, রাতেই জীবিত অন্য দুই শিশু নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করে বাসায় পৈরার পর বাকি দুই সমন্তও মারা যায়।
কচুয়া টাওয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক সিনথিয়া সাহা জানান, মূলত অপরিণত বয়সে জন্ম হওয়ায় শিশুদের তিনটি হাসপাতালে মারা যায়। 'স্বাভাবিক প্রসব হলেও জীবিত অন্য দুই শিশু বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা নেই' বলেও তখন মন্তব্য করেছিলেন এই চিকিৎসক।