১৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৭ জন করোনা পজিটিভ সনদধারী যাত্রী ঢাকায় নিয়ে এসেছে তিনটি এয়ারলাইন্স। বিমানবন্দর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
করোনা পজিটিভ সনদ থাকার পরও সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ও কাতারের দোহা থেকে যাত্রী নিয়ে এসেছে তিনটি এয়ারলাইন্স। এগুলো হলো সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও ফ্লাই দুবাই।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে চীনে ছাড়া দেশে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। ১৬ জুন থেকে সীমিত পরিসরে আন্তর্জাতিক রুটে বিমান চলাচল শুরু হয়। ফ্লাইট চালুর আগে স্বাস্থ্যবিধি জারি করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। তবে বিশেষ ফ্লাইটের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের বাধ্যবাধকতা নেই। গত ২৪ ঘণ্টায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করে দেশে এসেছেন ২ হাজার ৭৪৬ জন যাত্রী। এ পর্যন্ত মোট দেশে এসেছেন ৫ লাখ ১৫ হাজার ২৩২ জন।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, ১৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৭ জন করোনা পজিটিভ সনদধারী যাত্রী ঢাকায় নিয়ে এসেছে সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও ফ্লাই দুবাই। এসব যাত্রীকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ৭ জনের মধ্যে ৪ জন যাত্রী এসেছেন সৌদি আরব থেকে বিশেষ ফ্লাইটে। দুবাই থেকে এসেছেন একজন, কাতার থেকে একজন এবং বাকি একজন কোন দেশ থেকে এসেছেন তা জানা যায়নি।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, ‘করোনা পজিটিভ সনদ থাকার পরও যাত্রী ঢাকায় এসেছে কয়েকটি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে। এসব যাত্রীকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আমরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে।’
সূত্র জানায়, একাধিক ফ্লাইটে একাধিক পজিটিভ যাত্রী আনার ঘটনায় বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য বিভাগ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানায়। এ ঘটনায় ১৪ সেপ্টেম্বর বিমানবন্দরের পরিচালক জরুরি বৈঠক ডেকে এয়ারলাইন্সগুলোর প্রতিনিধিদের সতর্ক করেন।
এ প্রসঙ্গে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ-উল আহসান বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আবারও একই ঘটনা ঘটলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’