বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার রায় হবে আগামীকাল (৩০ সেপ্টেম্বর)। বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান মামলার রায় ঘোষণা করবেন। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন রিফাতের পরিবার ও স্থানীয়রা। এদিকে ন্যায্য বিচার প্রত্যাশা করেছেন মিন্নির বাবা।
বুধবার এ মামলার বয়স্ক ১০ জন আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হবে। গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় রিফাতের স্ত্রী মিন্নিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই ভাগে বিভক্ত অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় পুলিশ। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এরপর ৭৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ, রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ নির্ধারিত হয়।
করোনা মহামারির মধ্যে আদালত বন্ধ থাকার পরেও অতি অল্প সময়ে বিচারিক কার্যক্রম শেষ করে রায়ের দিন নির্ধারিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেছেন রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ।
আইনের প্রতি শতভাগ আস্থা জানিয়ে রিফাত শরীফ হত্যা মামলার সাক্ষী থেকে আসামি হওয়া আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরও ন্যায্য বিচার প্রত্যাশা করছেন। তার দাবি মিন্নিকে এই মামলায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ভুবন চন্দ্র হাওলাদার জানিয়েছেন, তারা রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষী, নানা তথ্য ও উপাত্ত দিয়ে আদালতকে সন্তুষ্ট করতে পেরেছেন। তার প্রত্যাশা আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে।
মিন্নির পক্ষের আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম জানিয়েছেন, তারা যে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন-তাতে মিন্নি বেকসুর খালাস পাবেন।