অটোরিকশা চালক ফরহাদ মোল্লা নিজের স্ত্রী এবং আসন্ন সন্তানের সুখের জন্য গার্মেন্টের চাকরি ছেড়ে অটোরিকশা চালাতেন। কিন্তু সেই সুখের আশায় নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার আগেই তাকে জীবন দিতে হলো। গত শুক্রবার সকালে পুলিশ ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের হাকি মোল্লার পুকুর পাড়ে কলাগাছের স্তূপের মধ্যে ফরহাদের মরদেহ উদ্ধার করে। হত্যাকাণ্ডটি বৃহস্পতিবার রাতে ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফরহাদ রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার পাচুরিয়ার সাত্তার প্রামাণিকের ছেলে। গত এক বছর আগে তার বিয়ে হয়েছিল এবং বিয়ের পর আয়ের জন্য তিনি অটোরিকশা চালানো শুরু করেছিলেন। প্রতিদিনের মতো গতকাল সকালে অটোরিকশা নিয়ে বের হওয়ার পর আর তিনি ফিরে আসেননি। তার স্ত্রী এখন অন্তঃসত্ত্বা, কিন্তু সন্তানের মুখ দেখা আগেই তাকে পৃথিবী থেকে চলে যেতে হলো।
কোতোয়ালি থানা পুলিশের এসআই শক্তিপদ মৃধা জানান, প্রাথমিকভাবে এটি রিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে হত্যা হতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে তদন্তের পর হত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ফরহাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।