শীতের শেষের দিকে মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে, সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে তা আরও তীব্র হয়ে উঠছে। গবেষণায় দেখা গেছে, গত বছরের তুলনায় এবছর মশার সংখ্যা ১২ গুণ বেড়েছে। যদিও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন মশা নিধনে কিছু উদ্যোগ নিয়েছে, তবে তাতে সেভাবে ফল পাওয়া যাচ্ছে না। মাঝে মাঝে মশক নিধনের জন্য কীটনাশক ছিটানো হলেও, এর কার্যকারিতা খুব কম।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় জানা গেছে, রাজধানীতে প্রতি ঘণ্টায় একজন মানুষকে গড়ে তিনশ’ মশা আক্রমণ করছে, যা গত বছর ছিল গড়ে ২৫টির নিচে। রাজধানীর মশার লার্ভার ঘনত্বও এ বছর অনেক বেশি, যা গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে এই ঘনত্ব আরও বাড়তে পারে, যা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
ঢাকা সিটি করপোরেশন বলছে, তারা নিয়মিত মশক নিধন কর্মসূচি, লার্ভিসাইড এবং কীটনাশক প্রয়োগ করছে, তবে সেগুলোর কার্যকারিতা সীমিত। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী জানান, মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে শহরের অপরিচ্ছন্নতা বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ড্রেন, ডোবা, নর্দমা এবং অন্যান্য জলাশয়ে ময়লা-আবর্জনা জমে থাকার কারণে মশা প্রজননের উপযোগী পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, যা মশা নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে কঠিন করে তুলছে।