প্রতিবছরের মতো এবারও নতুন বছরের প্রথম দিন শুরু হলো ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা।
সোমবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মেলার উদ্বোধন করেন।
মাসব্যাপী এ মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে। প্রাপ্তবয়স্করা ৩০ টাকায় এবং শিশু ও কিশোররা ২০ টাকায় টিকিট কিনে মেলায় ঢুকতে পারবেন।
গত কয়েক বছরের মতো এবারও ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার মাঠ ইজারা পেয়েছে মির ব্রাদার্স। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করেছে।
বাণিজ্য মেলার এবারের প্রধান গেট তৈরি হয়েছে পদ্মা সেতুর স্প্যানের (ইস্পাতের কাঠামো) আদলে। গত বছর মূল ফটক নির্মাণ হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের আদলে। মূল ফটকের পাশাপাশি এবার চমক থাকছে মেলার ভেতরেও। মূল ফটক পেরিয়ে সামনেই দেখা যাবে ডিজিটাল স্ক্রিন। ওই স্ক্রিন থেকে এক পলকেই দেখে নেয়া যাবে পুরো মেলা।
বাণিজ্য মেলায় মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে দৃষ্টিনন্দন বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন। অন্যবারের তুলনায় এবার প্যাভিলিয়নটি একটু বেশি দৃষ্টিনন্দন করে সাজানো হয়েছে। প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য থাকছে আলাদা পথ।
ভিআইপি গেট দিয়ে প্রবেশ করলেই হাতের ডানে দেখা যাবে মেলা মাঠের ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের কক্ষ। একই স্থানে রয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো কর্মকর্তা ও মেলার সদস্য সচিবের কক্ষ। এছাড়া মেলার মাঝ বরাবরও রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির অপর একটি কক্ষ। যেখান থেকে দর্শনার্থীরা মেলা-সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।
মেলায় ভারত, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ইরান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি, নেপাল, জাপান, আরব-আমিরাতসহ কয়েকটি দেশের ব্যবসায়ীরা অংশ নিচ্ছেন।
মেলায় আগত দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় থাকছে সিসি ক্যামেরা। পাশাপাশি থাকছে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আনসার, পুলিশ, বিজিবি-র্যাবের পাশাপাশি কর্মরত থাকবেন সাদা পোশাকের গোয়েন্দারা।