আসন্ন রোজা উপলক্ষে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে, যেমন আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক কমানো, এলসি মার্জিন শিথিল করা, ডলারের সরবরাহ বাড়ানো এবং পণ্য খালাস দ্রুত করার ব্যবস্থা। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমেছে, সরকারের এসব পদক্ষেপের সুফল ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে না। এর পরিবর্তে ব্যবসায়ীদের একাংশ অতিরিক্ত মুনাফা নিচ্ছে, এবং চাঁদাবাজির কারণে পণ্যের দাম প্রত্যাশিতভাবে কমছে না।
ঢাকার পাইকারি ও খুচরা বাজারে সরবরাহ যথেষ্ট, তবে কিছু পণ্যের মধ্যে সয়াবিন তেলের সংকট রয়েছে, যদিও বড় দোকানগুলোতে এর কোনো ঘাটতি নেই। চাল, পেঁয়াজ, আলু, ডিম এবং চিনির দাম কিছুটা কমেছে, তবে ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা বজায় রয়েছে। সরকারের উদ্যোগ সত্ত্বেও তেলের দাম বেড়ে গেছে এবং পণ্য সরবরাহকারীরা বাজারে তেল সরবরাহ না করার কারণে সংকট তৈরি হয়েছে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা এবং কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের নেতারা সতর্ক করেছেন যে, বাজারে অস্থিরতা দূর করতে কঠোর নজরদারি দরকার। তারা জানিয়ে দিয়েছেন, যদি কারসাজি বা অতিমুনাফার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর ফলে কিছু পণ্যের দাম কমলেও, সরকার যে পরিমাণ কমানোর কথা বলেছিল, তা বাস্তবায়িত হয়নি।