নিবন্ধিত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবিতে করা অনশনে ৮১ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন। দাবি আদায় না হওয়ায় ৯ জানুয়ারি থেকে তারা আমরণ অনশন শুরু করেন। অনশনের প্রথম দিনই অসুস্থ হয়ে পড়ায় ২২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অনশনে অসুস্থদের হাসপাতালে আনা-নেয়ায় স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছেন গোবিন্দগঞ্জের সাখইল স্বতন্ত্র ইফতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক আবু সাঈদ।
আবু সাঈদ বলেন, ’ ৪ দিনের অনশনে ৮১ জন আন্দোলনকারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এদের মধ্যে তিনজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, বাকিরা এখনো আন্দোলনেই আছেন। এখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছেন শিক্ষকদের মধ্যে কিছু গ্রাম্য চিকিৎসক। ঠান্ডাজনিত কারণে সর্দি, জ্বর, ডায়রিয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিয়েছে রোগীদের মধ্যে। তবে কারো অবস্থা বেশি খারাপ হলে তাকে মেডিকেলে নেওয়া হচ্ছে। এখন তিনজন মেডিকেলে ভর্তি আছেন।’ তিনি আরো জানান, আন্দোলনে মোট ৮৯ জন অসুস্থ হন। এর মধ্যে ৮ জন সুস্থ হয়েছেন।
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯৯৪ সালে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকদের বেতন ৫০০ টাকা করা হয়। এর পর বিভিন্ন সরকার ধাপে ধাপে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করে। সেসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মাসে ২২ থেকে ৩০ হাজার টাকা বেতন পান। কিন্তু এখন পর্যন্ত ইবতেদায়ি শিক্ষকরা তেমন কোনো বেতন পান না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, ১ হাজার ৫১৯টি মাদ্রাসার শিক্ষক নামমাত্র বেতন পান। এসব মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ২ হাজার ৫০০ টাকা ও সহকারী শিক্ষকরা ২ হাজার ৩০০ টাকা বেতন পান। এই বেতন দুর্মূল্যের বাজারে অমানবিক, শিক্ষকদের অবমাননা ছাড়া কিছুই না।