অন্যান্য দেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যও মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখবে, যাতে তারা রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন করে। সফররত যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়কমন্ত্রী পেনি মর্ডান্ট আজ রোববার সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী আরো বলেন, তাঁর দেশ রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থাপিত পাঁচ দফা প্রস্তাবকে পুরোপুরি সমর্থন করে।
লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে মানবিকতার পরিচয় দিয়ে ব্রিটিশমন্ত্রী তার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।
প্রেস সচিব বলেন, বৈঠকে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন ও প্রত্যাবাসনের বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, মানবিক কারণে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, তবে দীর্ঘদিন তাদের এখানে রাখা বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব হবে না।
বাংলাদেশ থেকে নিজেদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকার সম্মত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে দীর্ঘ কয়েক দশকের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের অবসান সম্ভব হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার রোহিঙ্গাদের জন্য তাদের মিয়ানমারের ঠিকানাসহ পরিচয়পত্র ইস্যু করছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগম উপস্থিত ছিলেন।