১. বিয়ের প্রথম দিনই তাকে জানিয়ে দিতে হবে সে যেন আপনার বাবা মায়ের সাথে অশোভন আচরণ না করে। এ জাতীয় আচরণ করলে তাকে চিরস্থায়ীভাবে বাবার বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করা হবে, একথা সাফ সাফ জানিয়ে দিন কোন রকম ইতস্ততা না করেই।
২. আপনার আয় ও ব্যয়ের ব্যাপারে তাকে নাক গলাতে দেয়া যাবেনা। আপনি আপনার বাবা-মার জন্য ব্যয় করবেন, সেখানে তাকে কোন রকমের হস্তক্ষেপ করতে দেয়া যাবেনা। আপনার বাবা-মাকে ভরন-পোষনের দায়িত্ব আপনার, এখানে তার বাধাদানের কোন সুযোগ দেয়া যাবেনা।
৩. শ্বশুড় বাড়িতে আপনার নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে যাতে আপনার কথার গুরুত্ব দেয় তারা। শ্বশুড় বাড়ি, বিশেষ করে শ্বাশুড়ির সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখবার জন্য তাকে মাঝে মাঝে গিফট দেয়া যেতে পারে। এতে আপনার ব্যাপরে আপনার শ্বাশুড়ির নিকট কোন অভিযোগ করা হলেও তা ধোপে টিকবে না।
৪. শ্বশুর বাড়িতে কখনও গৃহপালিত জামাই হিসেবে থাকা যাবেনা। আর্থিক সংকট থাকলেও নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় থাকতে হবে।
৫. স্ত্রীকে শারীরিকভাবে কখনও লাঞ্ছিত করা যাবেনা। এতে আপনার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও ভয় কমে যাবে।
৬. শপিং এর ব্যাপারে স্ত্রীর ওপর ছেড়ে না দিয়ে আপনাকেই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কেননা আপনার আয় সীমিত হলে আপনার পকেট কাটা যাবে, এই নিয়ে সংসারে শুরু হবে ঝগড়া-ঝাটি।
৭. এদেরকে নিয়ে বেশি ঘাটাঘাটি না করাই ভালো। বরং একটা সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে যাতে বেশি বাড়ার সুযোগ না পায়।
৮. আপনার আয় অথবা চাকুরীর স্টাটাসের চেয়ে স্ত্রীর স্টাটাস কখনও উঁচু হতে দেয়া যাবেনা। তাহলে স্ত্রী আপনাকে পেয়ে বসবে এবং উঠতে বসতে কথা শোনাবে।
৯. আপনার বাবা-মায়ের সাথে ভালো ব্যবহারের অর্ডার দিয়ে দিতে হবে। না হলে এরা তাদের সাথে আপনার সম্পর্ক খারাপ করে ফেলবে। আপনার জন্য আপনার মা চোখের পানি ফেলুক এরকম কোনও কারন কখনও হতে দেয়া যাবেনা।
১০. সবচে’ ভালো নিয়ন্ত্রণের কৌশল হলো আপনার যদি অঢেল সম্পদ থাকে এবং আপনি যদি স্ত্রীকে যথেষ্ঠ ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে দেন। তার সকল আর্থিক চাহিদা মেটান, তাহলে আপনার ব্যপারে অভিযোগ করার সুযোগ কম পাবে।