সারা দিনে কাজের ফাঁকে ধোঁয়া ওঠা এক কাপ গরম চা না পেলে দিন যেন থমকে যায়। তবে চা খাওয়ার পরে যে পাতাটা পরে থাকে, সেটা নানা কাজে ব্যবহৃত হতে পারে। তাই চায়ের ব্যবহৃত পাতা ফেলে দেবেন না। কীভাবে চায়ের পাতাকে প্রতিদিনের নানা কাজে ব্যবহার করা যায়, তা জেনে নিন।
দীর্ঘক্ষণ রাত জেগে পড়াশোনা করলে বা কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করলে বা অন্য আরও অনেক কারণে কারোর কারোর চোখের তলায় কালি পড়ে যায়। এক্ষেত্রে ঠান্ডা পানিতে টি ব্যাগ ভিজিয়ে তারপর সেটি যদি চোখের পাতার ওপর রেখে দেওয়া যায়। মিনেট বিশেক এটি চোখের ওপর দিয়ে রাখলে অনেকটা আরাম পাবেন। এর ফলে ক্লান্ত চোখে প্রাণ ফিরে আসবে এবং নিয়মিত ব্যবহার করলে চোখের তলার কালি দূর হবে।
ব্যবহার করা টি ব্যাগ কিংবা চায়ের পাতা দিয়ে অনায়াসে কাঠের জিনিস পরিষ্কার করতে পারেন। পানির মধ্যে ব্যবহার করা ওই টি ব্যাগ কিংবা চায়ের পাতা ফেলে দিন। এবার ওই পানি দিয়ে বাড়িতে থাকা চেয়ার, টেবিল মুছে নিন। দেখবেন তাতে একদম নতুনের মতো হয়ে যাবে কাঠের আসবাবপত্র।
রান্নার জিনিসে অনেক সময়ই তেলের দাগ লেগে যায়। তা পরিষ্কার করার জন্য কতই কসরত না করেন। কিন্তু জানেন কী ব্যবহার করা টি ব্যাগ কিংবা চায়ের পাতা দিয়ে অনায়াসে পরিষ্কার হতে পারে কঠিন দাগ। সারারাত গরম পানিতে ব্যবহার করা চা পাতা কিংবা টি ব্যাগ ভিজিয়ে রাখুন। ওই পানি দিয়ে একবার ধুলেই ম্যাজিক নজরে আসবে।
ব্যবহার করা চায়ের পাতা সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। অনেকেই গোলাপ গাছে চায়ের পাতা সার হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। আরও অনেক গাছে এটির ব্যবহার করা যেতে পারে। অফিসের টেবিলে টবে থাকা গাছের গোড়ায়ও এই পাতা ব্যবহার করতে পারবেন। বিশেষ করে ইনডোর প্ল্যান্টের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা চা পাতা সার হিসেবে অত্যন্ত উপযোগী।
এয়ার ফ্রেশনার হিসেবেও চায়ের পাতা ব্যবহার করা যায়। বাজে গন্ধ দূর করতে অনেকেই কার্পেট বা ফ্রিজে টি ব্যাগ রেখে দেন, তাতে গন্ধ কিছুটা কমে। চায়ের যে সাধারণ সুগন্ধ রয়েছে, সেই অ্যারোমায় দুর্গন্ধ কেটে যায়। তাই এয়ার ফ্রেশনার হিসেবে সহজেই চা পাতা ব্যবহার করতে পারেন।
শ্যাম্পু করার পরে চুল ধুয়ে নিয়ে চা পাতা ভিজানো পানিতে চুলটা শেষবার ধুয়ে নিন। এরপর চুলে আর পানি দেবেন না। চা পাতা ধোওয়া পানি আপনার চুলে ন্যাচরাল কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করবে।