তাপমাত্রার পরিবর্তনের ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। ঠান্ডা-গরমে জ্বর, সর্দি-কাশির সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। তার উপর রয়েছে করোনার আতঙ্ক। এই সময় খুসখুসে কাশিতে অনেকেরই জীবন একদম অতিষ্ট হয়ে ওঠে।
এই সব সাধারণ অথচ কষ্টকর মৌসুমী সমস্যায় আমরা প্রায় সকলেই অ্যান্টিবায়টিক বা কাফ সিরাপের দ্বারস্থ হই। কিন্তু অ্যান্টিবায়টিকের প্রভাবে মুখে আর কোনও স্বাদ থাকে না, শরীরও দুর্বল হয়ে পড়ে। আর কাফ সিরাপে খুসখুসে কাশি সারতেও বেশ সময় লেগে যায়। তাই আপনি যদি চকলেট ভালবাসেন আর বাড়িতে চকোলেট থাকে, তাহলে অ্যান্টিবায়টিক বা কাফ সিরাপের আর প্রয়োজন হবে না। সর্দি-কাশির সমস্যায় চকলেট খেলেই কাজ দেবে।
অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমনটাই দাবি একদল ব্রিটিশ গবেষকদের। ইংল্যান্ডের ‘ইউনিভার্সিটি অব হাল’-এর হৃদরোগ ও শ্বাসযন্ত্র বিভাগের প্রধান অ্যালিন মরিস জানান, সর্দি-কাশির সমস্যা নিরাময়ে ওষুধের অন্যতম উপাদান কোকোয়া। তার মতে, বাজারে উপলব্ধ ডার্ক চকোলেটে কোকোয়ার পর্যাপ্ত উপস্থিতি সর্দি-কাশির সমস্যা নিরাময়ের ক্ষেত্রে সহজ সমাধান হতে পারে।
লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের বিজ্ঞানীদের মতে, সর্দি-কাশির ওষুধে ব্যবহৃত কোডিনের চেয়ে চকোলেটে থাকা কোকোয়ায় সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়। তাদের মতে, সাধারণ ওষুর চেয়ে কোকোয়া বেশি আঠালো হয়। তাই এটি গলার মধ্য তুলনামূলক পুরু আস্তরণ তৈরি করতে সক্ষম হয়। ফলে ৩৬ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সর্দি-কাশির সমস্যা অনেকটাই সেরে যাবে।
অধ্যাপক মরিসের মতে, চকোলেটে থাকা কোকোয়ার মধ্যে থিওব্রমিন নামে এক বিশেষ ধরনের উপাদান থাকে, যা খুসখুসে কাশির জন্য দায়ি পাতলা শ্লেষ্মাকে ঘন আঠালো আস্তরণে পরিনত করে। ফলে সমস্যা মিটে যায়। এছাড়াও চকোলেট গলার ভিতরে একটা আঠালো আস্তরণ তৈরি করে। ফলে আক্রান্ত স্নায়ুপ্রান্তগুলি ঢাকা পড়ে গিয়ে গলা খুসখুসের সমস্যা বন্ধ হয়ে যায়।